গাঁজা শরীরে বিষব্যথা সারায়। এই বক্তব্যের বর্ণনা রয়েছে ভারতবর্ষের প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে। তবে এ কথাও সুবিদিত যে, গাঁজা, ভাং ও মারিজুয়ানা গ্রহণ মানুষের স্মরণশক্তি হ্রাস করে এবং দীর্ঘ মেয়াদে মনোবৈকল্য ঘটায়। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা গাঁজা, ভাং ও মারিজুয়ানার ওপর গবেষণা করে জেনেছেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ব্যথানাশক ওষুধ এগুলো থেকে প্রস্তুত করা সম্ভব, যা মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না। এই গবেষণা করেছে ফ্রান্সের বায়োমেডিক্যাল ইনস্টিটিউট। এর নেতৃত্ব দিয়েছে আইএনএসইআরএম। ফ্রান্সের গবেষকরা জানান, ইঁদুরের মস্তিষ্কের যে অংশের কোষের নিউরনে গাঁজা বা মারিজুয়ানার মাদক ক্রিয়া করে, তা প্রথমে তারা ওষুধ প্রয়োগ করে নিষ্ক্রিয় করেন। এরপর ওই ইঁদুরের শরীরে এই মাদক প্রবেশ করিয়ে দেখা গেছে, তাতে ইঁদুরটি বেহুঁশ হয় না বরং তার প্রাণচাঞ্চল্য ঠিকই থাকে। এ অভিজ্ঞতা থেকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ব্যথানাশক হিসেবে গাঁজার ভালো গুণ আছে। মানুষের বিভিন্ন রোগের ওষুধ এবং অস্ত্রোপচারের জন্য চেতনানাশক তৈরিতে এর বহুল ব্যবহার করা যাবে। শিগগিরই গাঁজা ও মারিজুয়ানার নির্যাস থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন এ ওষুধ প্রস্তুত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ও আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখেছেন, ভাং ও গাঁজা সেবনে ফুসফুসের ক্ষতি তামাক পাতায় প্রস্তুত সিগারেট পানের চেয়ে কম।