স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানা যায়, গড়ে আড়াই হাজারের বেশি রোগীর জন্য দেশে আছে মাত্র একটি শয্যা। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে রোগীর জন্য এ শয্যা সংখ্যা। দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল আছে ২ হাজার ২১৩টি। এসব হাসপাতালে শয্যা আছে ৫১ হাজার ৬৮৪টি। এর মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা প্রায় ১৯ হাজার। শয্যার অভাবে বছরে লাখ লাখ গরিব রোগীকে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতে শয্যার এ সঙ্কট দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। সরকার নতুন করে ৪ হাজার ৬৫৫টি শয্যার অনুমোদন দিলেও আবেদন অনুযায়ী ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ২৩ হাজার ৬০টি শয্যার। এ আবেদনও চাহিদার তুলনায় অনেক কম বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের শীর্ষপর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা।
জানা যায়, ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল ও সরকারি অন্য ১৭টি হাসপাতাল থেকে ১১ হাজার ৬৫০টি নতুন শয্যা অনুমোদনের জন্য গত বছরে আবেদন আসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ২ হাজার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৮৫০, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এক হাজার ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এক হাজার শয্যার জন্য আবেদন করে। সরকার সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেলকে ৩০০, ওসমানী মেডিকেলকে ১০০, ময়মনসিংহ মেডিকেলকে ২০০, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলকে ৪৭৫টি শয্যার অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১৮০টি শয্যার জন্য আবেদন করা হলে ১৮০টি শয্যাই অনুমোদন করে সরকার। ১৭টি হাসপাতালের আবেদন অনুযায়ী ৯ হাজার ৯৮৫টি শয্যা ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।