ডিসিসিআই’র নবনির্বাচিত সভাপতি আসিফ ইব্রাহীমের সাথে মরিশাসের কাউন্সেল জেনারেল ইউসুফ আব্দুল রাজাক মোহামেদ সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা দুদেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা করেন।
মরিশাসের কাউন্সেল জেনারেল ইউসুফ আব্দুল রাজাক মোহামেদ বলেন, বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে বাণিজ্য-ব্যবসা সম্পর্কিত বিষয়ে তথ্যাদি আদান-প্রদানে অপ্রতুলতার কারণে দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্য আশানুরূপ পর্যায়ে উন্নীত হয়নি। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার আমদানীর বিপরীতে রপ্তানি ছিল প্রায় ০.২২ মিলিয়ন ডলার। তিনি বাংলাদেশের কৃষি ও ঔষধ শিল্পের অপার সম্ভাবনার কথা উলেস্নখ করে মরিশাসের বাজারে এ দুইধরনের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যে বেসরকারিখাতকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারী পর্যায়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি পর্যটন শিল্পের অধিকতর উন্নয়নের জন্য একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন পর্যটন শিল্প যথেষ্ট সম্ভাবনাময় এবং এর চাহিদা উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি মরিশাসের কাউন্সেল জেনারেল বরাবর বাংলাদেশের রপ্তানীকারকদের একটি তালিকা প্রেরণের আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি যৌথ উদ্যোগে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য মেলা আয়োজনেরও প্রস্তাব করেন।
ডিসিসিআই ঊধর্্বতন সহ-সভাপতি টি আই এম নূরুল কবীর বাংলাদেশ থেকে তথ্য প্রযুক্তি খাতে আউটসোর্সিং কারার জন্য মরিশাসের প্রতি আহবান জানান। তিনি দুদেশের মধ্যকার চেম্বার পর্যায়ের সমর্্পক আরো সুদৃঢ় করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ডিসিসিআই সহ-সভাপতি নাসির হোসেন, পরিচালক এম বশির উলস্নাহ ভুঁইয়া, ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, কে. এম. এন. মঞ্জুরুল হক এবং ওসমান গনি এসময় উপস্থিত ছিলেন। ডিসিসিআই -এর ভারপ্রাপ্ত সচিব ফেরদৌস আরা বেগম বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের একটি তুলনামূলক চিত্র এ সময় তুলে ধরেন।