সব প্রানীর শরীর অসংখ্য ছোট ছোট কোষের (Cell) দ্বারা তৈরি। এই কোষগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর মারা যায়। মৃত এই পুরনো কোষগুলোর জায়গায় নতুন কোষ এসে জায়গা করে নেয়। সহজ কথায় কোষগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে এবং নিয়মমতো বিভাজিত হয়ে নতুন কোষের জন্ম দেয়। সাধারনভাবে বলতে গেলে যখন এই কোষগুলো কোন কারণে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তখনই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে দলা অথবা চাকা দেখা যায়। একেই টিউমার বলে। এই টিউমার বিনাইন (নিরীহ) বা ম্যালিগন্যান্ট হতে পারে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকেই ক্যান্সার বলে। নিরীহ বা বিনাইন টিউমর ক্যান্সার নয়। মেটাস্ট্যাসিস হলো ক্যান্সারের একটি পর্যায়, যখন ক্যান্সার কোষগুলি রক্ত ও লসিকাতন্ত্র (Lymphatic System) ইত্যাদির মাধ্যমে শরীরের আশেপাশে ও দূরবর্তী অঙ্গগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তাই এই রোগের নতুন কারন ও কার্যকর নতুন চিকিৎসা আবিষ্কার গবেষকদের কাছে এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। বায়ো-মেডিকেল গবেষকদের গবেষণালব্ধ ফল এই রোগের চিকিৎসায় নতুন আশার আলো জাগিয়েছে।
নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ল্যাঙ্গন মেডিকেল সেন্টারের গবেষকরা একক-ডোজ নয়, ভগ্নাংশযুক্ত রেডিয়েশন (Frationated but not single-dose Radiation Therapy) ও অ্যান্টি-সিটিএলএ-৪ (Anti-CTLA-4) অ্যান্টিবডি থেরাপির (Immune-mediated theray) মাধ্যমে মেটাস্ট্যাটিক ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন আশার আলো জাগিয়েছে। গবেষণালব্ধ ফল ক্লিনিক্যাল ক্যান্সার রিসার্চ (Clinical Cancer Research) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
আমেরিকান ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্টেশন ২০১১ সালে মেটাস্ট্যাটিক ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টি-সিটিএলএ-৪ অ্যান্টিবডি ইপিলিমুম্যাব (Ipilimumab) অনুমোদন করেছে। ফাদার অব অ্যান্টি-সিটিএলএ-৪ (Anti-CTLA-4) জেম্স পি অ্যালিসন (James P Allison) ২০১৮ সালে চিকিৎসাবিদ্যায় নবেল পান।