বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট নিয়মিত করছি। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করছি। হেমাটোলজি বিভাগে রোগীদের চিকিৎসায় সময় বেশি লাগার কারণে ডে কেয়ার সেন্টার চালু করার চিন্তাভাবনা করছি। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে হেমাটোলজি বিভাগ খোলা ও বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি। এ বছরই বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) এবং রোবটিক সার্জারি শুরু করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, রোবটিক সার্জারি, স্টেম সেল থেরাপি ও আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স হবে স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ।
সোমবার (২ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউ’র হেমাটোলজি বিভাগ আয়োজিত ‘নিউ ইয়ার সেলিব্রেশন অ্যান্ড ইয়ার প্ল্যান ডিকলারেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপাচার্য একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে হেমাটোলজি বিভাগের বিগত বছরের কর্মকাণ্ড তুলে ধরাসহ নতুন বছরের কর্মপরিকল্পনা জানানো হয়। এছাড়াও নতুন চিফ রেসিডেন্টকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আরও বলেন, বিএসএমএমইউয়ে হেমাটোলজিক্যাল টেস্ট, নিউবর্ন স্ক্রিনিং, অ্যাবনরমালিটি ডিটেকশন, ফিশ টেস্ট, কোলোরেকটরাল কারসিনোমা রোগের ওপর গবেষণা করা হচ্ছে। এ জন্য বাজেটের বাইরে আরও ২৫ কোটি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ স্মার্ট হচ্ছে। এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নতুন প্রজন্মের চিকিৎসকদের টেলি কনসালটেশন, কোলাবোরেশন ট্রেনিং প্রোগাম এবং টেলি হেলথে অংশ নিতে হবে। এসব যদি করতে পারি তবে আমরা স্মার্ট সিটিজেন হবো, স্মার্ট বাংলাদেশ হবে এবং স্মার্ট হেলথ হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন শাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে হেমাটোলজি বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।