দেশের আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজে ডেন্টাল ইউনিট প্রধান, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকের ৯৩৬টি পদ সৃজন বা সংযুক্ত করার জন্য প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
শুক্রবার (৪ মার্চ) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির বুলবুল।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক ডা. মো. আমীর হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজে ডেন্টাল ইউনিটের জন্য ২০১৮ সালে প্রতিটি বিষয়ে একটি করে সহকারী অধ্যাপক ও দুইটি প্রভাষকের পদ সৃজন করা হয়েছিল বলে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি আবেদনে উল্লেখ করে। বর্তমান শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য উক্ত আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের বিভিন্ন বিষয় সমূহে ডেন্টাল ইউনিট প্রধান, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও প্রভাষকের পদ সৃজনের প্রস্তাব বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি কর্তৃক অত্র অধিদপ্তরের দাখিল করেছেন। যা পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হলো। এতে মহাপরিচালক মহোদয়ের অনুমোদন রয়েছে।’
ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অর্গানোগ্রাম পূর্ণাঙ্গকরণের লক্ষ্যে ২৭৩টি পদসৃজনের অনুরূপ একটি প্রস্তাবও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, স্বাস্ব্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে বলেও জানান ডেন্টাল সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির।
তিনি জানান, আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজে বিডিএস কোর্স চালু আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৬৫৬টি পদ আমরা তৈরি করতে পেরেছি। এগুলোর মধ্যে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপকের পদগুলো ছিল না। দ্বিতীয় পর্যায়ে আমরা অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপকসহ ৯৩৬ পদ সৃজনের প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম, সেটি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে পাঠিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে ক্লিক করুন
তিনি আরও বলেন, ডেন্টাল ইউনিটগুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত ছিল। এখন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমোদনের মাধ্যমে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে, শুধু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর অনুমোদনের বাকি রয়েছে।
অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘কোনো বিষয়ে অধ্যাপক না থাকলে ওই শিক্ষাব্যবস্থাটা পূর্ণাঙ্গ হয় না। পূর্ণাঙ্গকরণের স্বার্থে, শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত শিক্ষা এবং জনগণের উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার জন্য অধ্যাপক থাকাটা খুবই জরুরি।’