দেশে ১২ বছরের বেশি বয়সের শিক্ষার্থীরা কমপক্ষে এক ডোজ টিকা গ্রহণ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে পারবে না বলে জানিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সরকারী সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মন্ত্রী সভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী পরিষদ সচীব বলেন, লঞ্চ ও ট্রেনে উঠতে গেলেও ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার চিন্তা করছে সরকার। বাড়ির বাইরে মাস্ক ছাড়া চলাচল বন্ধ থাকবে। করোনার দুই ডোজ ভ্যাকসিন না নিলে ট্রেন ও উড়োজাহাজে চলাচল করা যাবে না। সেই সঙ্গে রেস্তোরাঁ, শপিংমলেও প্রবেশ করা যাবে না। এ ছাড়া সামাজিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমাগম সীমিত রাখতে হবে বলেও তিনি জানান।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরো জানান, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনে অর্ধেক সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ভাড়া বাড়ানো যাবে না। এটি পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বলে দেওয়া হবে।
বুস্টার ডোজ নিয়ে তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ দেওয়ার বয়স সীমা ৬০ থেকে কমানো হবে। ফ্রন্টলাইনাররা সবাই শিগগিরই বুস্টার ডোজ পাবেন। কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে এসব সিদ্ধান্ত কবে থেকে কার্যকর করা হবে সেটি দু-এক দিনেই জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রোগতত্ত্ববিদ্গণ আশংকা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামি ১০ থেকে ৩০দিনের এধ্য ওমিক্রনে সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যেতে পারে। এ জন্য হাসপাতাল ব্যাবস্থাপনা জোরদার করতে হবে এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে।
দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সশরীরে ক্লাস বন্ধসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সকল প্রকার জনসমাবেশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় সশরীরে ক্লাসের পরিবর্তনে অনলাইনে ক্লাস চালু থাকবে।
গতকাল বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রশাসনিক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে, অনেকের টিকা কার্ড ও টিকার সনদে অসম্পূর্ণ তথ্য থাকায় দেশের বাইরের বিভিন্ন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের। টিকার সনদের কিউআর কোড স্ক্যান করে এসব তথ্য না পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট দেশে প্রবেশের সময় বিশাল ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে অনেককে। টিকার মূল সনদের (হার্ডকপি) সঙ্গে স্ক্যান করা সনদের তথ্যের পুরোপুরি মিল না পাওয়ায় তা নিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয় বাংলাদেশি যাত্রীদের।