স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রথমবারের মতো প্রত্যেকটি দেশের জন্য আলাদা আলাদা করে প্রয়োজনীয় ডিজিটাল গাইডলাইন প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। স্মার্টফোন, ট্যাব ও কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেটে ১০টি পন্থা সম্বলিত এ গাইডলাইনটি অনুসরণ করে দেশগুলো তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পারবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, চলতি মাসের ১৭ এপ্রিল এ ডিজিটাল গাইডলাইন ডব্লিউএইচও’র ওয়েবসাইটের সঙ্গে সংযুক্ত রেখে চালু করা হয়েছে (https://digitalhealthatlas.org)।
গত দুই বছর ডব্লিউএইচও ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর পর্যালোচনা করেছে এবং বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে কিছু সুপারিশ তৈরি করেছে। যেমন, যেসব সরঞ্জাম স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর সর্বাধিক প্রভাব ফেলে এবং মানুষের স্বাস্থ্যে মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
অনলাইন গাইডলাইনটির একটি নির্দেশনা ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে বলেও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের মতে, গর্ভবতী মায়েদের সেবায় চিকিৎসকদের কাছে যাওয়া এবং যেসব শিশুর টিকা নেওয়া হয়নি, তাদের আবার চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আরেকটি সফলতা হলো- স্বাস্থ্যকর্মীরা স্বাস্থ্যসেবায় এই গাইডলাইন থেকে নির্দেশনা নিয়ে সহজে কাজ করতে পারছেন। একইসঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে বিভিন্ন সমস্যাসহ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় এই গাইডলাইন কাজে আসছে।
এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও’র প্রধান বৈজ্ঞানিক ডা. সৌম্য স্বামিনাথান বলেন, ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলোকে সামনে তুলে ধরে।
তিনি বলেন, যদি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল টেকনোলজিস্টদের সংযোজন ঘটে, তাহলে বিভিন্ন সমস্যা সমন্বিতভাবে স্থায়ী সমাধানে আসবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় অনেক প্রচলিত নিয়ম আছে, যেগুলো বাদ দিয়ে সমস্যা সমাধানের দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
যেমন, গাইডলাইনটি স্টক ম্যানেজমেন্টের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক তুলে ধরেছে। ডিজিটাল টেকনোলজির মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীরা আরও ভালোভাবে যোগাযোগ রেখে স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সম্পর্কিত পণ্যের স্টক থাকা না থাকা সম্পর্কে জানতে পারবে।