হাড় মজবুত করতে চান? প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখুন এই সব খাবার

হাড়ই (Bones) আমাদের শরীরের ভিত। কিন্তু একটা বয়সের পর মানুষের হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে। যেখান থেকে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শুরু থেকেই যদি হাড়ের যত্ন নেওয়া যায় তবে এই ধরনের সমস্যা কিছুটা হলেও এড়ানো সম্ভব। হাড়ের মূল ওষুধই হল ক্যালসিয়াম। শরীরে এই উপাদানের অভাবেই একাধিক হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। তাই হাড়ের যত্ন নিতে বেশি করে ক্যালসিয়াম (Calcium) যুক্ত খাবার খেতে হবে। হাড়ের কর্মক্ষমতা (Efficiency) বৃদ্ধি করতে রোজের পাতে কোন ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার রাখবেন জেনে নিন-

দুগ্ধজাত দ্রব্য: পনির,দই, দুধে অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি রয়েছে। যা হাড়ের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

আনারস:
এই ফল শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হতে দেয় না। এছাড়াও আনারসে ভিটামিন এ রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারি।

পালং শাক: এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা শরীরে ২৫ শতাংশ ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে।

আমন্ড: এতে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, ও ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা শরীরের একাধিক সমস্যা দূর করে। তাই অনেকেই আজকাল সকালবেলা জলে ভেজানো আমন্ড খান।

ইয়োগার্ট: গবেষকদের মতে ইয়োগার্টে নাকি দুধের থেকেও বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাই হাড়ের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পাতে রাখুব ইয়োগার্ট।

চিজ়: যদি আপনাক হাড় দুর্বল হয় তবে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিয়ে রোজ অল্প পরিমাণে চিজ় খান।

সোয়াবিন: প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সোয়াবিন হাড়ের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

কলা: এই ফলে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে যা হাড়ের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রোজ একটি করে কলা খাওয়া শরীরের জন্য জরুরি।

বিনস:
এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও আয়রন রয়েছে যা পেশি মজবুত করে। এছাড়াও এতে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড়ের জন্য বেশ উপকারি।

ঢ্যাড়স: মজবুত হাড় পেতে ঢ্যাড়স খান। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে।

কাঠ বাদাম:
এছাড়াও কাঠ বাদামে ক্যালসিয়াম উপস্থিত। ১০০ গ্রাম কাঠ বাদামে ২৬৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে।

তিলের বীজ: তিলের বীজ শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।

টকজাতীয় ফল: যেকোনও টকজাতীয় ফলে ভিটামিন সি ও সাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে যা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে।

ব্রোকলি: প্রচুর ক্যালসিয়ামে পরিপূর্ণ এই সবজি শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বজায় রাখে ও হাড়কে মজবুত করে।

আরও খাবেন বিনস। অতি পুষ্টিকর একটি খাবার বিনস। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, এ, কে, বি সিক্স, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, সিলিকন, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম ও কপারের মত মিনারেল। এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এখন জেনে নেওয়া যাক বিনস খাবেন।

পেশি মজবুত করে
বিনসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং আয়রন রয়েছে, যা মাংসপেশির দ্রুত বৃদ্ধি এবং মজবুত করতে সহায়তা করে। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাদের জন্য এই সবজি অত্যন্ত উপকারী।

পেটের সমস্যা দূর করে
নিয়মিত এই সবজি খেলে পেটের অনেক সমস্যা কমে যায়। হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা হ্রাস পায়।

শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে
লাঞ্চ ও ডিনারে সবুজ বিনস খেলে তা শরীরের টক্সিন বাইরে বের করতে সাহায্য করে। তাই সুস্থ জীবনযাপন করতে চাইলে আজই সবুজ শাকসবজি আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন

হাড়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
পুষ্টির অভাবে অনেক সময় হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। হাড় শক্ত রাখতে বিনস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে।

ডায়াবেটিসে সহায়ক
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিনস আদর্শ সবজি হিসেবে বিবেচিত বিনস। এতে ডায়েটারি ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেটও পাওয়া যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এটি কোষকে রক্ষা করে এবং নতুন কোষ গঠনে কার্যকরী ভূমিকা নেয়।

Exit mobile version