না ফেরার দেশে চলে গেলেন সিমুডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. জাহিদুর রশিদ সুমন। ডেঙ্গু হিমোরেজিক ফিভার থেকে কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়ে রোববার ভোরে মারা গেছেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
রবিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৭.৩০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি ডেঙ্গু হিমোরেজিক ফিভার থেকে কার্ডিয়াক এরেস্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
ডা. জাহিদুর রশীদ সুমন ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাবনা ক্যাডেট কলেজে লেখাপড়া করেছেন তিনি।
গত সপ্তাহে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তার চিকিৎসা চলছিল নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। তারও আগে তিনি ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সেখান থেকে তাকে এভার কেয়ারে পাঠানো হয়।
তার মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে এভার কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, রোগীর ব্যাপারে কোনও তথ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেবে না। এ বিষয়ে জানতে হলে তার স্বজনদের কাছ থেকে জানতে হবে।
চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিটি (এফডিএসআর) এর যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী স্বাস্থ্য টিভিকে জানান, ডা. জাহিদুর রশীদ সুমন প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হন। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বলে জানিয়েছে।
তবে এটা পোস্ট কোভিড সিন্ড্রোম হতে পারে বলে ধারণা করছেন ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী। তিনি বলেন, ডা. জাহিদের সর্বশেষ করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। তার অক্সিজেন লেভেল-প্লাটিলেট কমে গিয়েছিল।
ডা. জাহিদুর রশীদ সুমনের স্ত্রীর নাম ডা. শাহীন আক্তার। দুই সন্তানের বাবা তিনি। ডা. শাহীন আক্তার গত ২২ অক্টোবর ফেসবুকে লিখেছেন, চিকিৎসকরা ডেঙ্গু হেমোরেজিক সন্দেহ করছেন। তার স্ত্রী শাহীন আক্তারও এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানান, ডা. জাহিদুর রশীদ সুমন চিকিৎসকদের আল্ট্রাসনোগ্রাফি প্রশিক্ষণের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান সিমুডের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। প্ল্যাটফর্ম, মেডিসিন ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তিনি।