চরম সুখে সামিল দু’পক্ষই। তবে সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, যৌনমিলনের হার বাড়লেও চরম শারীরিক সুখ বা অর্গাজমের হারে সন্তুষ্ট নয় অধিকাংশ নারীই। কন্ডোম প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ড ডিউরেক্স -এর এক সমীক্ষা অনুযায়ী ৭০% নারী সেক্সে চরম সুখ থেকে বঞ্চিত থাকেন। অর্থাৎ, তাদের অর্গাজম হয় না।
নারীদের এই অর্গাজম প্রাপ্তির হারকে সামনে রেখেই লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে আলোচনা নতুন মাত্রা পেয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন বলে মনে করেছেন অনেকেই।
কিন্তু, যৌন সুখের চরম প্রাপ্তি থেকে নারীদের বঞ্চিত হওয়ার কারণ কী? ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, সামাজিক প্রেক্ষাপটে যৌনতার ফ্রেমই এর জন্য দায়ী। আসলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যৌনতাও পুরুষতান্ত্রিক নিগড়ে বাধা। পুরুষদের যৌনতা সাধারণত লিঙ্গকেন্দ্রীক। অর্থাৎ, একটি অর্গাজমে তাদের যৌনতা শেষ হয়। তবে নারীর যৌনতা শুধুই যোনিকেন্দ্রীক নয়। তাই চরম মুহূর্তে পৌঁছতে তাদের তুলনায় বেশি সময় লাগে।
সাধারণত, উৎপাদনকামী যৌনতার ঝোঁক বেশি হয় পুরুষদের মধ্যে। এছাড়াও প্রকৃত যৌনশিক্ষার অভাব, সঙ্গমের সময় তাড়াহুড়ো করা ইত্যাদি কারণে পার্টনারকে সুখী করতে ব্যর্থ হন তারা।