মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের নাম বদলে নতুন নাম দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বর্তমান নামটি বৈষম্যমূলক ও অপমানজনক হওয়ায় এটি পরিবর্তনের চিন্তা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারাবাহিক কয়েকটি সভার পর রোগটির নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রোগটির নতুন নাম ‘এমপক্স’। আজ সোমবার সংস্থাটির জেনেভা কার্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ জুন) জেনেভায় বিশ্ব সংস্থাটির মহাসচিব টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস জানান, ‘আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন কোনো নাম দেয়া হবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস ও এর বিভিন্ন নতুন ধরনগুলোর।’ গত মাসে ভাইরাসটি অন্তত ২০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর স্কাই নিউজের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, গত সপ্তাহে আফ্রিকাসহ বিশ্বের ২৯ বিজ্ঞানী ভাইরাসটির নাম ‘বৈষম্যমূলক’ বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি দেন। এর পরই এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচওর এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে জানান, কোন অঞ্চল বা প্রাণীর নামের সঙ্গে রোগের নাম দেয়ার নিয়ম তাদের নীতিমালায় নেই।
সম্প্রতি ডব্লিউএইচও তাদের ওয়েবসাইটে মাঙ্কিপক্সের দুটি নতুন ধরন তালিকাভুক্ত করেছে। ‘সেন্ট্রাল আফ্রিকান (কঙ্গো বেসিন) ক্লেড’ এবং ‘ওয়েস্ট আফ্রিকান ক্লেড’।
চিঠিতে বিজ্ঞানীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, ভাইরাসটির উৎস আফ্রিকায় এবং এটি ‘আফ্রিকান’ হিসেবে উল্লেখ করা শুধু ভুলই নয়, বৈষম্যমূলকও।
মাঙ্কিপক্স ভাইরাসজনিত রোগ। রোগটি মূলত বানরজাতীয় প্রাণীর। রোগটি প্রাণী থেকেই মানুষে এসেছে এবং মানুষ থেকে মানুষে তা সংক্রমিত হতে পারে। এ বছর বেশ কয়েকটি দেশে রোগটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, সমকামী পুরুষদের মধ্যে রোগটি বেশি ছড়াতে দেখা গেছে।
বিশ্বের যাবতীয় রোগের নামের তালিকা বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করে তৈরি করা হয়। একে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল ক্ল্যাসিফিকেশন অব ডিজিজেস (আইসিডি)। সাধারণত কোনো রোগের নাম পরিবর্তন করতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়। মাঙ্কিপক্সের নাম পরিবর্তনে সময় লেগেছে এক বছরের কম। তবে প্রয়োজনীয় সব রীতিনীতি ও ধাপ অনুসরণ করা হয়েছে।