কিটো ডায়েটে ওজন কমলেও যেসব রোগ হতে পারে

সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে কিটোজেনিক ডায়েট। এটি মূলত উচ্চ মাত্রার প্রোটিন আর কম কার্বোহাইড্রেট ডায়েট।

আমাদের দেশেও এর প্রচলন চোখে পড়ার মতো। অনেক স্বাস্থ্য সচেতনরাই এখন ঝুঁকছেন কিটো ডায়েটের দিকে। এ ডায়েটে খাবারের তালিকায় ফ্যাট বা প্রোটিনের মাত্রা বেশি রাখা হয়। আর অন্য দিকে কার্বহাইড্রেট কমিয়ে দেয়া হয়।

তবে জানেন কি? শরীরে কার্ব এর পরিমাণ কমে গেলে দেখা দিতে পারে নানা জটিলতা। তাই কিটো ডায়েটে সতর্ক থাকুন। জেনে নিন কী কী জটিলতা দেখা দিতে পারে-

অন্ত্রের জটিলতা
কিটোজেনিক ডায়েটের সবচেয়ে সাধারণ সাইড ইফেক্ট হচ্ছে অন্ত্রের জটিলতা দেখা দেয়া। চিকিৎসা ভাষায় যাকে বলা হয় গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল জটিলতা। যারা কিটোজেনিক ডায়েট করেছেন তাদের অনেকেই ডায়রিয়া, বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটে ব্যথার অভিযোগ করে থাকেন। আপনার এর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

কিডনির পাথর
সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, কিটোজেনিক ডায়েট অনুসরণ করছে এমন ২০ জনের মধ্যে ১ জন কিডনি পাথরের সমস্যায় ভোগেন। কারণ লো কার্ব কিডনিতে পাথরের জন্য অনেকটাই দায়ী। যারা ওজন কমানোর জন্য এই ধরণের ডায়েট অনুসরণ করে তাদের এ ঝুঁকি বেশি থাকে।

লিভারের অকার্যকারিতা
কিটোজেনিক বা লো-কার্ব ডায়েটের ফলে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ সৃষ্টি হতে পারে। এর কারণ ফ্যাট ও প্রোটিনকে ভেঙ্গে গ্লুকোজ উৎপাদনের জন্য যকৃতের উপর প্রচুর চাপ পড়ে। যার ফলে উচ্চমাত্রার অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হয়।

ক্লান্তিতে ভোগা
লো-কার্ব ডায়েটের ফলে পেশীর ব্যথা ও ক্লান্তিতে ভুগতে দেখা যায় অনেকেই। তাই লো-কার্ব ডায়েট অনুসরণ করার আগে অভিজ্ঞ ডায়েটেশিয়ান বা নিউট্রিশনিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

ভিটামিন ও পুষ্টির ঘাটতি
মোম্বাই এর পিডি হিন্দুজা হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক নিউট্রিশন থেরাপিস্ট ডা. পূর্ণিমা এস প্রভু বলেন, ভিটামিনের ঘাটতিতে ভুগছেন কিটো ডায়েট অনুসরণকারীরা। তিনি জানান, তার কাছে আসা রোগীদের মধ্যে যারা কিটোজেনিক ডায়েট ফলো করেন তাদের মধ্যে ২ থেকে ৫ শতাংশ জনেরই ভিটামিনের ঘাটতিতে ভুগতে দেখা যায়। কারণ লো-কার্ব ডায়েটের ফলে শরীরে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যামাইনো এসিডের মাত্রা কমতে থাকে। এছাড়াও ভিটামিন বি ১২ ও ভিটামিন ডি এর ঘাটতিও দেখা দেয়।

হার্টের সমস্যা
দীর্ঘ দিন কিটোজেনিক ডায়েটের ফলে হার্টের নানা সমস্যা দেখা দেয়। এটি খুবই বিরল হলেও সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে হৃদপিণ্ডের পেশী আক্রান্ত হয় এবং সারা শরীরে রক্ত পাম্প করার ক্ষমতার উপর ও প্রভাব পড়ে।

Exit mobile version