অতিরিক্ত মেকআপে রয়েছে স্বাস্থ্য-ঝুঁকির আশঙ্কা!

সবাই নিজেকে প্রতিদিন সুন্দর দেখাতে চাই এই ব্যাপারটা স্বাভাবিক। নিজেকে আকষর্ণীয় দেখাতে আমরা অনেকেই প্রতিদিন মেকআপ করি। আর এই মেকআপের কারণে আমরা আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দিন দিন বাড়াচ্ছি কিন্তু সেটা আমাদের অজানা।

শুধু স্বাস্থ্য ঝুঁকি নয় বরং, প্রতিদিনের অতিরিক্ত মেকআপ আপনার শরীরে কিডনি ড্যামেজের মতো রোগ ডেকে আনতে পারে। মেকআপ আপনাকে সুন্দর করার পাশাপাশি নিরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে।

বর্তমান বাজারে এতো ধরনের মেকআপ কিট পাওয়া যায়, যেগুলি থেকে চোখ ফেরানো সত্যি সম্ভব নয়। কারণটা তো খুব সহজ। আর এই সব প্রডাক্ট তো তাদের বিজ্ঞাপনে সেই নিশ্চয়তাই দেয়। এগুলো ব্যবহার করলে চোখ থেকে ঠোঁট সবই এত সুন্দর দেখাবে, যে এতে কেউ আপনার থেকে চোখ ফেরাতে পারবে না। তাই তো তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা সৌন্দর্য বাড়াতে ওইসব প্রসাধনী কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ি। কিন্তু আমরা জানতেও পারি না, এর কারণে আমাদের শরীরে কতো রোগ বাসা বাঁধে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক নিরবে বাসা বাধা সেইসব অজানা ব্যাধিগুলো…

১। ক্যানসার :

কিছু লিপবাম, লিপস্টিক এবং সানস্ক্রিনে বেঞ্জোফেনান নামে এক ধরনের টক্সিক কেমিকেল থাকে। যেটি সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির থেকে ত্বককে বাঁচায়। যদিও বাস্তবে এই কেমিকালটি ক্যানসারের মতো মারণ রোগ হওয়ার পিছনে অন্যতম প্রধান করণ, এমনটাই দাবি গবেষকদের।

২। হাড়ের রোগ :

কেডিয়াম নামে এই কমিকালটি যদি ত্বক ভেদ করে হাড়ে পৌঁছে যায় তাহলে কিন্তু বিপদ! কারণ এর থেকে হতে পারে নানা ধরনের জটিল হাড়ের রোগ।

৩। হরমোনের ক্ষতি :

যে মেয়েরা অতিরিক্ত মেকআপ করে তাদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং নানা রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে।

৪। বন্ধ্যাত্ব :

একাধিক লিপস্টিক, সানস্ক্রিন এবং ফাউন্ডেশনে এমন কিছু কেমিকাল থাকে যেগুলি শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৫। কিডনি ড্যামেজ :

কেডিয়াম নামে এক ধরনের কেমিকাল ব্যবহার করা হয় একাধিক মেকআপ প্রডাক্টে। এটি কোনো ভাবে যদি শরীরে প্রবেশ করে, তাহলে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হয়। কিছু ক্ষেত্রে তো কিডনি ড্যামেজের মতো বিপদ ডেকে আনতে পারে এই উপাদানটি।

৬। মাথা ঘোরা :

নেলপলিশ, চুলের ডাই প্রভৃতিতে টলুইন নামে এক ধরনের বিষাক্ত কেমিকেল থাকে যেটির কারণে মাথা ঘোরা, এমনকি ক্রনিক মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

Exit mobile version