বেসরকারি মেডিকেল কলেজের তালিকা বেসরকারি মেডিকেল কলেজে বিষয়ে পড়াশুনা করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য। সারা দেশে বর্তমানে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এর সংখ্যা সর্বমোট ৯৮টি। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হওয়াতে এই সংখ্যা আরও বাড়ছে। এছাড়াও আরও আছে ৬টি মিলিটারি মেডিকেল কলেজ। এছাড়াও আছে গনস্বাস্থ্য মেডিকেল যাতে সিট সংখ্যা । বেসরকারী মেডিকেল ছাড়াও সারা দেশে ১৮ টি বেসরকারী ডেন্টাল কলেজও রয়েছে দন্ত্যচকিৎসক ছাত্র ছাত্রীদের জন্য। দেশের স্বাস্থ্যখাতকে শক্তিশালী করা ও জনগনের শতভাগ চিকিৎসা নিশ্চিতকরনের উদ্দেশ্যেই মূলত প্রতিনিয়ত গড়ে উঠেছে এই বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো। সরকারের একার পক্ষে এত বিশাল এক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবার আওতায় আনা সম্ভব ছিল না। সেই কঠিক কাজটিকে সহজ করে দিয়েছে এই বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো যা কভিড-১৯ এর সময় আমরা দেখেছি। আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো সেই সব বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এর তালিকা।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কি?
সাধারনত মেডিকেল কলেজ বলতে আমরা বুঝি যেখানে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিদ্যা পড়ানো হয় বা শেখানো হয়। সাথে সাথে হাতে কলমে শিখিয়ে দেওয়া হয় কিভাবে এর প্রয়োগ করতে হবে।এই মেডিকেল কলেজগুলো পরিচালনা আবার দুই ধরনের। যে সকল মেডিকেল কলেজ সরকারের রাজস্ব থেকে কোন বেতন ভাতা পায়না তাদেরকেই মূলত বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বলা হয়। পৃথিবীর বেশীরভাগ দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বহু দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা সরকারি কলেজ হতে অনেক অনেক বেশি।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের তালিকা
বাংলাদেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজে হচ্ছে সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের ব্যবস্থাপনা ব্যতীত বেসরকারি ট্রাস্ট বা ব্যক্তি-মালিকানাধীনে পরিচালিত মেডিকেল কলেজ সমূহকে নির্দেশ করে। ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হলো বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ।যেটি ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন লাভ করে। পরবর্তীতে আরও অনেকগুলো বেসরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজের তালিকা এর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৯৮ টি।
ঢাকা বিভাগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সমূহ
ঢাকা বিভাগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হলো ৩৫টি তবে নতুন নতুন মেডিকেল গড়ে উঠায় এ সংখ্যা পরিবর্তনশীল। নিচে এগুলোর নামা দেওয়া হলো।
আদ-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজ
আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ
বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ
বিক্রমপুর ভূইয়া মেডিকেল কলেজ
সিটি মেডিকেল কলেজ
ডেল্টা মেডিকেল কলেজ
ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ
ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ
ড: সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ
নর্দার্ন মেডিকেল কলেজ
এনাম মেডিকেল কলেজ
ডায়াবেটিক এসোশিয়েশন মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ
ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লাইড হেলথ সায়েন্সেস
গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ
হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ
ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ
ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ
ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ
জহরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
কুমুদিনী মহিলা মেডিকেল কলেজ
মার্কস মেডিকেল কলেজ
মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন এন্ড হসপিটাল
এম.এইস সমরিতা মেডিকেল কলেজ
মুন্নু মেডিকেল কলেজ
নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ
নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ
পপুলার মেডিকেল কলেজ
শাহাবুদ্দীন মেডিকেল কলেজ
শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ
তায়রুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ
জেড. এইচ. সিকদার মহিলা মেডিকেল কলেজ
চট্টগ্রাম বিভাগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ
চট্টগ্রাম বিভাগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এর সংখ্যা হলো ৮টি তবে নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠায় এ সংখ্যা পরিবর্তনশীল। নিচে এগুলোর নাম দেওয়া হলো।
বি.জি.সি. ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ
সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ
ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ
ময়নামতি মেডিকেল কলেজ
সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ
ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি
আর্মি মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা
খুলনা বিভাগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ
খুলনা বিভাগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এর সংক্যা হলো ৪টি তবে নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠায় এ সংখ্যা পরিবর্তনশীল। নিচে এগুলোর নাম দেওয়া হলো।
আদ-দ্বীন সখিনা মেডিকেল কলেজ
গাজী মেডিকেল কলেজ
খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ
আর্মি মেডিকেল কলেজ, যশোর
সিলেট বিভাগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ
সিলেট বিভাগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এর সংখ্যা হলো ৫ টি তবে নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠায় এ সংখ্যা পরিবর্তনশীল। নিচে এগুলোর নাম দেওয়া হলো।
জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ,
নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ
পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ
দুররে সামাদ রহমান উইমেন্স রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ
সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ।
রাজশাহী বিভাগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ
রাজশাহী বিভাগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এর সংখ্যা হলো ৬টি তবে নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠায় এ সংখ্যা পরিবর্তনশীল। নিচে এগুলোর নাম দেওয়া হলো।
বারিন্দ মেডিকেল কলেজ
ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ
খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ
উত্তর বঙ্গ মেডিকেল কলেজ
শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ
টি.এম.এস.এস. মেডিকেল কলেজ
রংপুর বিভাগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ
রংপুর বিভাগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এর সংখ্যা হলো ৬টি তবে নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠায় এ সংখ্যা পরিবর্তনশীল। নিচে এগুলোর নাম দেওয়া হলো।
প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ
নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
কছির উদ্দিন মেমরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
রংপুর ডেন্টাল কলেজ
রংপুর আর্মি মেডিকেল কলেজ
ময়মনসিংহ বিভাগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ
ময়মনসিংহ বিভাগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এর সংখ্যা হলো ৩টি তবে নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠায় এ সংখ্যা পরিবর্তনশীল । নিচে এগুলোর নাম দেওয়া হলো।
কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ
জহুরল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজ, কিশোরগঞ্জ
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের তালিকা এই বিষয়ে আপনাদের মনে বেশ কিছু পশ্ন থাকতে পারে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত সকল প্রশ্ন ও তার উত্তর।
বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কোনটি?
ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হলো বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল কলেজ। যা বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৬ সালে কলেজ পরিচালনার জন্য অনুমোদন দেয়।
বেসরকারি মেডিকেলে পড়তে কত টাকা খরচ হয়?
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির খরচ সরকার দ্বারা নির্ধারিত হলো ১৩ লাখ ৯০ হাজার। এছাড়া ইন্টার্নশিপের জন্য আরও গুনতে হয় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার খরচ সর্বোচ্চ ১৫ লাখ ১০ হাজার টাকা নিতে পারে। তবে কোন কোন মেডিকেল কলেজ চাইলে এর চাইতে কম বা বেশি নিতে পারে।
উপসংহার
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এ পড়তে গিয়ে যে সমস্যাটা ছেলে অথবা মেয়েরা ও তাদের অভিভাবকরা যে সমস্যার সম্মুখীন হয় তা হলো বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ার খরচ অনেক বেশি। আবার পড়াশেনার খরচ ছাড়াও ভর্তির সময় এককালীন একটি মোটা অংকের টাকা জমা দিতে হবে আপনাকে ভর্তি ফিস ও মেইনটেইন খরচ হিসেবে। এ খরচটা মেডিকেল থেকে মেডিকেল ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া হোস্টেলে থেকে পড়তে হলে হোস্টেল খরচ হিসেবে মাস শেষে ৫-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হতে পারে। এছাড়া পরীক্ষার সময়গুলাতে পরীক্ষার ফি বাবৎ আপনাকে দিতে হতে পারে আরও একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা। বিশেষ করে ফাইনাল পরীক্ষার আগে। এ খরচটাও বিভিন্ন কলেজে থেকে বিভিন্ন যদিও বোর্ড এর ফি নির্দিষ্ট থাকে।