Home স্বাস্থ্য সংবাদচিকিৎসাকর্মীদের জন্য দেশেই তৈরি হচ্ছে করোনা–প্রতিরোধী পোশাক

চিকিৎসাকর্মীদের জন্য দেশেই তৈরি হচ্ছে করোনা–প্রতিরোধী পোশাক

by ডেস্ক রিপোর্ট, স্বাস্থ্য ডটটিভি

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুরক্ষা সরঞ্জামের সংকট প্রকট হচ্ছে। চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সুরক্ষা সরঞ্জামের সংকট কাটাতে ইতিমধ্যে পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বা বিশেষ সুরক্ষিত পোশাক তৈরির কাজে হাত দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার (এমঅ্যান্ডএস)।

এমঅ্যান্ডএসের বাংলাদেশ প্রধান স্বপ্না ভৌমিকের নেতৃত্ব গতকাল শনিবার পিপিইয়ের ৩০টি নমুনা বা স্যাম্পল তৈরি করা হয়েছে। তবে সেই নমুনাতে কিছু ত্রুটি রয়েছে। আজ রোববার সারা দিন ত্রুটি সারানোর কাজ চলবে। চূড়ান্ত নমুনা পেতে আরও দুই-তিন দিন লাগতে পারে। স্বপ্না ভৌমিকের সঙ্গে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার কয়েকজন উদ্যোক্তাও কাজ করছেন।

জানতে চাইলে আজ রববার সকালে সাংবাদিকদের জানান স্বপ্না ভৌমিক।তবে তিনি বলেন, ‘পিপিই বানানোর বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সাধারণ সেলাই মেশিনে পোশাকগুলো সেলাই করা হয়েছে। সেলাইয়ের কারণে পুরোপুরি বায়ুরোধী করা যায়নি। আজ রোববার আমরা সারা দিন সেই কাজটি করব। আশা করছি, দুই–তিন দিনের মধ্যেই প্রাথমিকভাবে ব্যবহার উপযোগী পিপিই বানানো সম্ভব হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পিপিইর জন্য বিশেষ ধরনের নন-ওভেন কাপড়ের দরকার। বর্তমান পরিস্থিতিতে চীন থেকে সেই কাপড় আনতে অনেক সময় লাগবে। সে জন্য আমরা দেশেই উৎপাদন করার পরিকল্পনা করছি। সে জন্য বস্ত্রকলের মালিকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে।’

পিপিই বানাতে যাদের সহযোগিতা দরকার হচ্ছে, তাদের এগিয়ে আসতে অনুরোধ করা হচ্ছে, এমন তথ্য দিয়ে স্বপ্না ভৌমিক বলেন, ‘আমরা চার লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ পিপিই বানাতে চাই। সেটির জন্য অবশ্যই তহবিল লাগবে। তহবিল কোথা থেকে আসবে সেটি ঠিক হয়নি। তবে পিপিই বানানোর জন্য চারটি কারখানার সঙ্গে আমি আজ রোববার বৈঠক করব।’

চার লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ পিপিই বানিয়ে কাদের সরবরাহ করা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বপ্না ভৌমিক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের স্বপ্না ভৌমিক চিকিৎসকের সুরক্ষার জন্য বিশেষ স্যুট তৈরি করছে। বিষয়টি স্বপ্না ভৌমিক আমাদের জানিয়েছেন। এই পোশাক বানাতে বিশেষ ধরনের কাপড়ের প্রয়োজন হয়। কাপড় পেলে আমাদের জ্যাকেট প্রস্তুতকারক কারখানাগুলো পোশাক বানাতে প্রস্তুত রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকটি কারখানা পরীক্ষামূলকভাবে পানিরোধী কাপড় তৈরি করেছে। নমুনা আমাদের হাতে আসছে। পুরোপুরি উচ্চমানসম্পন্ন না হলেও আপাতত চলবে।’

You may also like