আর্সেনিকে একই পরিবারে আক্রান্ত ১১ : মৃত্যু ১

॥ ই-হেলথ২৪ প্রতিবেদক ॥  মাগুরার জেলার শ্রীপুর উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নলকূপের পানি খেয়ে একই পরিবারের ১১ ব্যক্তি আর্সেনিক আক্রান্ত হয়েছে। এর আগে এই পরিবারের একজন আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। এ রোগে আক্রান্ত একজনের ডান পা কেটে ফেলা হয়েছে। ক্যান্সার হয়েছে একজনের। অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

আক্রান্তদের কাছ থেকে জানা গেছে, ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাড়িতে স্থাপিত একটি নলকূপের পানি খেয়ে পরিবারের কয়েকজন আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়। পরে মাগুরা সদর হাসপাতালে পানি পরীক্ষার পর তাতে ২০০ ভাগ আর্সেনিক ধরা পরে। এর আগে পরিবারের অপর দুসদস্য আবুল কালাম ও বাহারুলও এই রোগে মৃত্যুবরণ করতে পারে বলে আক্রান্তদের ধারণা।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০০৫, ২০০৭ ও ২০১০ সালে আসেনিকের জরিপ করা হয় সে জরিপে এই পরিবারের ১১ জন ব্যক্তি আর্সেনিকে আক্রান্ত বলে চিহ্নিত করা হয়। আক্রান্তরা হলেন_ গোলাম তহুর (৫২), সোহেল রানা (২৬), সরোয়ার (৬০), শরাফত (৫৬), ফুলবানু (৫০), আবু জাফর (৪৮), শহীদুল (৪৬), রাবেয়া (৪৫), ফিরোজ (৩৫), আছিয়া (৪০) ও হিটু (২৫)। এদের মাঝে গোলাম তহুর, শহীদুল, হিটু ও ফিরোজ পুরনো বাড়িতে থাকেন।

এদিকে ২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের জরিপে উপজেলায় আরো ৭ জন আর্সেনিক আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। তারা হলেন সব্দালপুরের সিদ্দিকুর রহমান ও মিশারুল ইসলাম, শ্রীকোলের মোর্শেদ ও রিজিয়া, বিলনাথুর গ্রামের শিল্পী খাতুন, বড় উদাস গ্রামের রাজিয়া ও মহেশপুর গ্রামের রুবিয়া।
 
তবে এই সব রোগী শনাক্ত করলেও স্থানীয় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গত ৩ বছর তাদের কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি বলে আক্রান্তরা অভিযোগ করেন। একারণে এসব রোগীর দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলছে।

ইতিমধ্যে ক্যানসারে রূপ নিয়েছে এই পরিবারের একজনের। অন্যজনের পা কেটে ফেলতে হয়েছে। আক্রান্ত অন্যদেরও সারা শরীরে ফোড়া জাতীয় লাল দাগ হয়ে গেছে। এ নিয়ে পরিবারটিতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

Exit mobile version