কীভাবে হয়
নিপা ভাইরাস মূলত গৃহপালিত পশু-পাখিদের মধ্যে হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশে বাঁদুড় দিয়ে এ রোগ ছড়াচ্ছে। সংক্রমিত বাঁদুড় খেজুরের রস বা কোন ফল খেলে এ রস বা ফল মানুষ খেলে তারা নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। আশংকার খবর হল, এ ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে। তাই রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া অতীব জরুরি।
মানুষ থেকে মানুষে কীভাবে ছড়ায়
মূলত কফ, থুথু, প্রস্রাব, পায়খানার মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়।
রোগের লক্ষণ
বেশিরভাগ ক্ষেত্রই রোগীর রোগের কোন লক্ষণই প্রকাশ পায় না। কিছু ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো লক্ষণ হয়। যেমনÑ
-জ্বর
-গা ব্যথা, মাথাব্যথা
– বমি বমি ভাব
তবে এ ভাইরাস এতই মৃত্যুঝুঁকি বয়ে আনে যখন ব্রেইনে প্রদাহ বা এনকেফালাইটিস হয়।
এনকেফালাইটিসের লক্ষণ হল
-অবসন্ন ভাব
-খিঁচুনি হওয়া
– হঠাৎ অজ্ঞান হওয়া
– অসংলগ্ন আচরণ ও কথাবার্তা বলা।
চিকিৎসা
যে কোন ভাইরাসবাহিত রোগের মতো নিপা ভাইরাস দ্বারা বাহিত অসুখেরও সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। যেমন কোন এন্টিবায়োটিক নেই এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য কোন টিকা বা ভ্যাকসিন নেই। তবে রোগের লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয় যেমন জ্বর, গা ব্যথা বা মাথাব্যথার জন্য প্যারাসিটামল ও পর্যাপ্ত পানি বা তরল পান করতে হয়। রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়লে যথাযথ পুষ্টি সরবরাহের প্রয়োজন হয়।
কখন মৃত্যুঝুঁকি থাকে
ব্রেইনে প্রদাহ বা এনকেফাইলাইটিস হলে অর্থাৎ উপরের লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। মূলত এনকেফালাইটিস থেকেই ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।
প্রতিরোধে করণীয়
-খেজুরের রস কোন মতেই জ্বাল না করে বা না ফুটিয়ে খাওয়া যাবে না।
-কোন ফল খাওয়া অবস্থায় পরে থাকলে সে ফল আমাদের খাওয়া চলবে না।
ডা. রাজশিস চক্রবর্তী
সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল