■ ইহেলথটোয়েন্টিফোর.কম
একটা সময় ছিল, যখন পুরো দেশ থেকে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা মিটফোর্ডের ওষুধের বাজারে এসে পাইকারি দামে ওষুধ কিনত। এখন ঘটছে তার উল্টো। মিটফোর্ডের ওষুধ ব্যবসায়ীরা এখন জেলায় জেলায় গিয়ে ওষুধ কিনে এনে রাজধানীতে বিক্রি করেন। পাইকারি বাজার হিসেবে সবচেয়ে বড় অবস্থানটি ধরে রাখলেও এখন আর সুদিন নেই মিটফোর্ডের ব্যবসায়ীদের।
তাদের মতে, মিটফোর্ডে যে পরিমাণ ওষুধ বিক্রি হওয়া উচিত, তার অর্ধেকও এখন হয় না। মিটফোর্ডে বাজার এখন সংকুচিত হচ্ছে, ছড়িয়ে পড়ছে জেলায় জেলায়। এ ছাড়া যানজট, ঘিঞ্জি পরিবেশ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণেও মিটফোর্ড তার জৌলুস হারিয়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
মিটফোর্ড দেশের প্রথম পাইকারি ওষুধের ব্যবসা কেন্দ্র। বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে মিটফোর্ড এলাকায় ছোট-বড় প্রায় ১৩০০ দোকান গড়ে উঠেছে। বহুতল বিশিষ্ট ওষুধের মার্কেটের সংখ্যা প্রায় ৪০টি। প্রতি দোকানে দৈনিক গড়ে ৫০ হাজার টাকার কেনাবেচা হলে বছরে বন্ধ বাদ দিয়ে ৩০০ দিনে মোট কেনাবেচা হয় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ওষুধ। দেশে ওষুধ শিল্পের বিকাশে বাজারে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। কম্পানিগুলো তাদের বিক্রয় প্রতিনিধির মাধ্যমে সারা দেশের ওষুধ বিক্রেতাদের কাছে পেঁৗছে দিচ্ছে ওষুধ। ফলে জেলার বিক্রেতাদের ওষুধ কিনতে আর ঢাকায় যাওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। উল্টো মিটফোর্ডের ব্যবসায়ীরাই এখন এখন জেলায় জেলায় গিয়ে ওষুধ কিনে আনছে।
বাংলাদেশ কেমিস্টস্ অ্যান্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সহকারী সচিব এ এস এম মনির হোসেন জানান, কম্পানিগুলোর বিক্রয়-কর্মীরা বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য মিটফোর্ডের ব্যবসায়ীদের চেয়ে জেলার ব্যবসায়ীদের কমিশন, মূল্য ছাড় ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বেশি দেয়। এ কারণে জেলায় ওষুধের দাম কম পড়ে। মিটফোর্ডে বিক্রি হওয়া প্রায় ৭০ ভাগ ওষুধ জেলা থেকে নিয়ে আসা হয়। সমিতির সভাপতি সাদেকুর রহমান জানান, ঢাকার বাইরের ব্যবসায়ীরা কম্পানির কাছ থেকে তিন শতাংশ কমিশন বেশি পায়। মিটফোর্ডের অনেক ব্যবসায়ীর বিভিন্ন জেলায় দোকান আছে। ওই সব দোকানের মাধ্যমে ওষুধ কিনে, তা ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
সুত্র : কালের কণ্ঠ