অপচিকিৎসার হাত থেকে বাঁচাতে করণীয়

বাংলাদেশ থেকে কোয়াক, গ্রাম ডাক্তার, পল্লী চিকিৎসক, ফার্মেসীর ডাক্তার এই আপদগুলোকে ধীরে ধীরে বিদায় করতে হলে আর তাদের অপচিকিৎসার হাত থেকে সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে হলে সরকারকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে।

কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতেও বিসিএস (স্বাস্থ্য) চিকিৎসকদের পদায়ন করতে হবে। প্রতি দুই বছর পর পর বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হোক। দুই বছরের বেশি কাউকেই কমিউনিটি ক্লিনিক বা উপজেলায় পরে থাকতে যেন না হয় সেই দিকটি বিশেষ বিবেচনায় রাখতে হবে। পোষ্টিং দেয়া উচিৎ যোগ্যতা এবং জৈষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে, লবিং করে ভাল পোস্টিং বাগিয়ে নিবে কেউ, আর সিনিয়র হওয়ার পরও বছরের পর বছর কেউ গ্রামে পড়ে থাকতে হবে তার পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েশন ডিগ্রী নেই বলে তা ঠিক নয়।

কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসক নিয়োগ দিলে, প্রতি ৬০০০ জনের জন্য একজন চিকিৎসক পাচ্ছে গ্রামবাসী। তারা তখন সেবা নেয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকেই যাবে, বাড়ীর পাশের ফার্মেসীতে যাবেনা। তাতে করে সে চিকিৎসকের সঠিক চিকিৎসা পাবে। কোয়াকের অপচিকিৎসার হাত থেকে রক্ষা পাবে। ধীরে ধীরে কোয়াকদের এই ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। আর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বিপুল সংখ্যক বেকার চিকিৎসকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়ে যাবে তখন আর বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের ডিউটি ডাক্তার নামক করণিকের চাকরি করতে হবেনা। তারপরও যারা রয়ে যাবে তাদের বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজগুলো ভাল বেতন এবং সম্মান দিতে বাধ্য হবে।

Exit mobile version