নির্বাচিত

হার্ট দিবসে ইউনাইটেড হাসপাতালে দিনব্যাপী কর্মসূচি

Published

on

সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও নিয়মিত হার্ট চেক-আপের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষ্যে ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড দিনব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজন করেছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সুস্থ জীবনযাপনের জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও নিয়মিত চেক-আপের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তারা বলেন, হৃদরোগ প্রতিরোধে সচেতনতা ও প্রাথমিক চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজন করেছে দিনব্যাপী স্বাস্থ্যসচেতনতা কর্মসূচি। ভোর ৬টায় শুরু হওয়া ২.৫ কিলোমিটার ওয়াকাথন থেকে শুরু করে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ও রোগীদের সরাসরি প্রশ্নোত্তর—সবই মিলিয়ে সচেতনতার এক বিশাল মঞ্চ গড়ে ওঠে।

ওয়াকাথনের পর হাসপাতালের লবি এলাকায় উদ্বোধন করা হয় হেলথ বুথ। অংশগ্রহণকারীরা বিনামূল্যে রক্তচাপ ও রক্তের শর্করা পরিমাপ করান। এছাড়া পুষ্টিবিদ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ডায়েট ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত পরামর্শ দেন। ডা. এএনএম মোমেনুজ্জামান, ডা. কায়ছার নসরুল্লাহ খান, ডা. রেয়ান আনিস ও ডা. এ এম শফিক উপস্থিতদের হৃদরোগ প্রতিরোধ ও সুস্থ জীবনধারার গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

দিনব্যাপী কর্মসূচির বিশেষ আকর্ষণ ছিল পেশেন্ট ফোরাম। ইউনাইটেড হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা সরাসরি বিশেষজ্ঞদের কাছে প্রশ্ন করার সুযোগ পান। চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন, যা রোগীদের আস্থা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর হার ৫০.২ শতাংশ, যা দেশের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত। এছাড়া, স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুর হার ৮৮.১ শতাংশ, যা হৃদরোগের পরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

Advertisement

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যেমন নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক। তারা আরও বলেন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জনাব তালহা মালিক বারি বলেন, আমাদের লক্ষ্য কেবল চিকিৎসা প্রদান নয়, বরং জনগণকে স্বাস্থ্যসচেতন করে তোলা। আমরা সুস্থ জীবনের বার্তা আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে চাই।

সবশেষে হাসপাতালের কমিউনিকেশন ও বিজনেস ডেভেলপমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার ডা. ফজলেরাব্বী খান বলেন, আমরা যেন হার্টের সতর্কতামূলক লক্ষণগুলো উপেক্ষা না করি, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখি, নিয়মিত চেক-আপ করি এবং সময়মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই।

Trending

Exit mobile version