দাবি না মানলে কর্মবিরতিতে যাবেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকরা

চিকিৎসকদের মানববন্ধন। ছবি : সংগৃহীত

ভাতা বৃদ্ধিসহ চারদফা দাবি আদায় না হলে কর্মবিরতিতে যাবেন বলে জানিয়েছেন দেশের পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিৎসকরা। শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এই ঘোষণা দেয় পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন।

মানববন্ধন শেষে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটউটে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে দেখা করেন চিকিৎসকরা। এসময় মন্ত্রী তাদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেন।

পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের দাবির মধ্যে রয়েছে ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৫০ হাজার টাকা, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ৩০ হাজার টাকা করা। এছাড়া এফসিপিএস, রেসিডেন্ট ও ননরেসিডেন্ট চিকিৎসকদের বকেয়া ভাতা পরিশোধের দাবিও করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ১২টি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের রেসিডেন্ট এবং ননরেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ভাতা আবার চালু করা এবং চিকিৎসক সুরক্ষা আইন সংসদে পাস ও তা বাস্তবায়ন করা।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলেন, “গত নয়মাস ধরে ট্রেইনি ডাক্তাররা ভাতা থেকে বঞ্চিত। প্রাইভেট ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট এবং ডিপ্লোমা ট্রেইনিদের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

“অথচ আমাদের ভাতা আরেক দফা বাড়ানোর কথা ছিল জানুয়ারি মাস থেকে, কিন্তু আমাদের শুধু আশ্বাসের উপরেই রাখা হচ্ছে।”

এ অবস্থায় পরিবারের ভরণপোষণ অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “চার দফা দাবি মেনে না নিলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।”

ডা. জাবির হোসেন বলেন, “স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছেন, আর তিনি ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছেন।”

বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন জানিয়ে এই চিকিৎসক আরও বলেন, “আমরা এর আগেও দাবি জানিয়েছিলাম স্যারদের কাছে, কিন্তু এখন তাদের উপর আস্থা রাখতে পারছি না।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রবিবার একটি মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কাল দুপুর ১টার দিকে আমাদেরকে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আমাদের দাবি না মানলে হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করা আর পক্ষে সম্ভব হবে না। আমরা কর্মবিরতিতে যাব।”

Exit mobile version