বন্ধ্যাত্ব নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশে বর্তমানে বন্ধ্যত্বের হার ২০ শতাংশের উপরে। এই সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। বন্ধ্যাত্ব এবং স্ত্রীরোগ আজকের প্রজন্মের বহু দম্পতিদের কাছে এক বড় ধরনের সমস্যা। এই সমস্যা প্রভাব ফেলে দাম্পত্য জীবনে। শুধু দাম্পত্য জীবনেই নয়- এর প্রভাব পড়ে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও। বন্ধ্যাত্বের বহুবিধ কারণ থাকে, স্বামী-স্ত্রী যেকোন একজন বা উভয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকতে পারে। যদিও বাংলাদেশে নারীদেরই এজন্য নিগ্রহের শিকার হতে হয় বেশি। অথচ গবেষণায় দেখা গেছে, বন্ধ্যাত্বের ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে নারী, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ, বাকি ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের কোনো সমস্যা থাকে।

বন্ধ্যাত্ব নিয়ে সঠিক ধারণা প্রদানের পাশাপাশি চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য ‘বন্ধ্যাত্ব সমস্যা ও দূরীকরণ -এর সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকার কাজিপাড়াস্থ টিএমএসএস মাসুদা মেটারনিটি হাসপাতালের অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

মেডিহেল্প ফারটিলিটি সেন্টার এবং টি এম এস এস মাসুদা মেটারনিটি হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের সেরা ফার্টিলিটি এন্ড আইভিএফ স্পেশালিস্ট ডা. হাসনা হোসেন আখী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, টিএমএসএস মাসুদা মেটারনিটি হাসপাতালের পরিচালক ড. ফাতেমা খাতুন রিমি, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ ইন্ডিয়ার ইয়েলো ফার্টিলিটি সেন্টারের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শাবানা খানম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন বন্ধ্যাত্ব পরামর্শক মো. আব্দুল্লাহ আহমেদ।

আলোচকরা বলেন, বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও সঠিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা। কেননা বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় প্রয়োজন বন্ধ্যাত্ব বিষয়ে অভিজ্ঞ ও উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাইনী চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ল্যাবরেটরী এবং সঠিক রোগ নির্ণয় ব্যবস্থাপনা। বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনা তৈরির উপর জোর দেন বিশেষজ্ঞ আলোচকরা।

অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।

Exit mobile version