নির্বাচিত
ওমিক্রনে ব্যাপক সুরক্ষা দেয় জোড়া মাস্ক : গবেষণা

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়াচ্ছে। যারা এখনো টিকা নেয়নি তাদের জন্য করোনার অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রন একটি বিপদজনক ভাইরাস। এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এই সময়ে নতুন তথ্য দিল গবেষকরা। ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যাপকভাবে কার্যকর একটির পরিবর্তে দু’টি বা জোড়া মাস্ক। তবে দু’টি মাস্কের একটি হতে হবে সার্জিক্যাল এবং অপরটি কাপড়ের মাস্ক।
হংকংয়ের চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
গবেষক দলের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড হুই ব্লুমবার্গকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘দুটি সার্জিক্যাল মাস্ক পরলে দুই মাস্কের মধ্যে কিছুটা ফাঁকা জায়গা থাকে। সাধরণভাবে এটি একেবারেই চোখে পড়ার মতো নয়, কিন্তু ওমিক্রনের মতো উচ্চমাত্রার সংক্রামক ভাইরাসের বিস্তারের জন্য এই ফাঁকা স্থান যথেষ্ট।’
‘কিন্তু সার্জিক্যাল মাস্কের ওপরে যদি কাপড়ের মাস্ক পরা হয়, তাহলে মাঝখানে কোনো ফাঁকা স্থান থাকে না। এ কারণে সার্জিক্যাল মাস্কের ওপর কাপড়ের মাস্ক ওমক্রিনের সংক্রমণ থেকে ব্যাপকভাবে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।’
হংকংয়ের খ্যাতিমান জীবাণুবিদ ইউয়েন কয়োক ইউংও একই কথা বলেছেন। বুধবার স্থানীয় বেতারমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউয়েন কয়োক ইউন বলেন, ‘যারা দীর্ঘস্থায়ী অসুখ বা স্বাস্থ্যগত কারণে করোনা টিকা নিতে পারছেন না, কিংবা পেশাগত কারণে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন- তারা জোড়া মাস্কের এই কম্বিনেশন ব্যবহার করতে পারেন। সংক্রমণ ঠেকাতে এটি বেশ কার্যকর।’
২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন। শনাক্ত হওয়ার অল্পদিনের মধ্যেই করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরনের স্বীকৃতি পেয়ে যায় ভাইরাসটি।
আন্তর্জাতিক জীবাণু বিশেষজ্ঞদের মতে মূল করোনাভাইরাসের চেয়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা ৭০ গুণ বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ইতোমধ্যে এই ভাইরাসটিকে করোনার ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।