দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু কমছে। তবে এখনো দৈনিক শতাধিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে করোনায়। আগের চেয়ে কমে এলেও এখনো বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে।
শুরু থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি ছিল ঢাকা ও চট্টগ্রামে। গত জুন থেকে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে থাকে। এ সময় দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তথা রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলে সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। একপর্যায়ে দৈনিক মৃত্যুতে ঢাকাকেও ছাড়িয়ে যায় খুলনা বিভাগ। এর আগে রাজশাহীতে মৃত্যু বেড়েছিল। এখন ওই দুই বিভাগে মৃত্যু কমেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে (১৫-২১ আগস্ট) সবচেয়ে বেশি ৩৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এর পরের অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ২৪৪ জন। এই এক সপ্তাহে খুলনায় ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
জেলাওয়ারি হিসাবেও সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়। মহানগরসহ ঢাকা জেলায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ২৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ২৯ শতাংশ। ঢাকার পর মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে কুমিল্লা। এই জেলায় মোট ১ হাজার ৩৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চট্টগ্রাম জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩০৩ জনের।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। চলতি বছরের মার্চ থেকে দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে ৫ এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছিল সরকার। এর প্রভাবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে-পরে বিধিনিষেধ ঢিলেঢালা হয়ে পড়েছিল। এ কারণে ঈদের পর থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। জুলাই মাসে এসে পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার ধারণ করে। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে সংক্রমণ নিম্নমুখী।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ২৩ হাজার ৮৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৯১ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। পরীক্ষার বিপরীতে গতকাল রোগী শনাক্তের হার ছিল ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। এই নিয়ে গত টানা পাঁচ দিন রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের নিচে থাকল।
সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুও কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত ১২০ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ৫১ দিনের মধ্যে এটি সর্বনিম্নসংখ্যক মৃত্যুর রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০ জন মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে, এরপর চট্টগ্রামে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের।
গতকাল পর্যন্ত দেশে ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ১৯৪ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪২১ জন সুস্থ হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ১৪৩ জনের। মোট শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় গতকাল পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, ঈদের আগে-পরে কঠোর বিধিনিষেধের ফলে সংক্রমণ কমে এসেছে। কিন্তু এখন আবার রাস্তাঘাট, যানবাহন, শপিং মল, পর্যটন স্পটগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। এতে আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু কমছে। তবে এখনো দৈনিক শতাধিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে করোনায়। আগের চেয়ে কমে এলেও এখনো বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে।
শুরু থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি ছিল ঢাকা ও চট্টগ্রামে। গত জুন থেকে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে থাকে। এ সময় দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তথা রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলে সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। একপর্যায়ে দৈনিক মৃত্যুতে ঢাকাকেও ছাড়িয়ে যায় খুলনা বিভাগ। এর আগে রাজশাহীতে মৃত্যু বেড়েছিল। এখন ওই দুই বিভাগে মৃত্যু কমেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে (১৫-২১ আগস্ট) সবচেয়ে বেশি ৩৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এর পরের অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ২৪৪ জন। এই এক সপ্তাহে খুলনায় ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
জেলাওয়ারি হিসাবেও সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়। মহানগরসহ ঢাকা জেলায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ২৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ২৯ শতাংশ। ঢাকার পর মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে কুমিল্লা। এই জেলায় মোট ১ হাজার ৩৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চট্টগ্রাম জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩০৩ জনের।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। চলতি বছরের মার্চ থেকে দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে ৫ এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছিল সরকার। এর প্রভাবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে-পরে বিধিনিষেধ ঢিলেঢালা হয়ে পড়েছিল। এ কারণে ঈদের পর থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। জুলাই মাসে এসে পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার ধারণ করে। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে সংক্রমণ নিম্নমুখী।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ২৩ হাজার ৮৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৯১ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। পরীক্ষার বিপরীতে গতকাল রোগী শনাক্তের হার ছিল ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। এই নিয়ে গত টানা পাঁচ দিন রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের নিচে থাকল।
সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুও কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত ১২০ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ৫১ দিনের মধ্যে এটি সর্বনিম্নসংখ্যক মৃত্যুর রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০ জন মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে, এরপর চট্টগ্রামে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের।
গতকাল পর্যন্ত দেশে ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ১৯৪ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪২১ জন সুস্থ হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ১৪৩ জনের। মোট শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় গতকাল পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, ঈদের আগে-পরে কঠোর বিধিনিষেধের ফলে সংক্রমণ কমে এসেছে। কিন্তু এখন আবার রাস্তাঘাট, যানবাহন, শপিং মল, পর্যটন স্পটগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। এতে আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।