বাংলাদেশের চিকিৎসা পেশাদার এবং সম্মুখসারির কর্মীদের জন্য জাপান ৫৩ হাজার মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) অনুদান দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আইসোলেশন গাউন, সার্জিক্যাল মাস্ক, পার্টিকুলেট রেসপিরেটর মাস্ক, সেফটি গুগল এবং গ্লাভস।
জাপান সরকার এবং এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশনের (এএসইএফ) পক্ষ থেকে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন সিস্টেম (জাইকস) কোভিড-১৯ মহামারী সাড়া দিতে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ কার্যালয়কে এসব পিপিই অনুদান দিয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চিকিৎসা পেশাদার এবং সম্মুখসারির কর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর দেশে কোভিড-১৯ এর সাম্প্রতিক বিস্তার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের প্রচেষ্টার সহায়ক হবে।
এগুলো সম্মুখসারির স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের রক্ষায় এবং গত কয়েক সপ্তাহে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সঙ্গে লড়াই করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, এই অপরিহার্য চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের অনুদান সঠিক মুহূর্তে এসেছে, যখন আমরা সারা দেশে নিশ্চিত কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা বাড়িয়ে দিচ্ছি। আমাদের মহামারীর মধ্যে সাড়া দিয়ে চলমান সমর্থনের জন্য জাপান সরকার এবং এএসইএফ-এর কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। এর ফলে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও ভালোভাবে সজ্জিত করতে অবদান রাখবে।
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি আইআইটিও বলেন, এই বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পেরে জাপান আনন্দিত এবং আমরা বিশ্বাস করি যে এই সহযোগিতা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অংশীদারিত্বকেও উৎসাহিত করবে। আমরা আশা করি চিকিৎসা সরবরাহ বাংলাদেশের কোভিড-১৯ এ সাড়া দিতে অবদান রাখবে এবং হাতে হাত মিলিয়ে এই অসুবিধা কাটিয়ে উঠব।
বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. বারদান জং রানা বলেন, বিশ্বব্যাপী মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টাই মূল চাবিকাঠি। জাপান সরকার এবং এএসইএফ হিসাবে প্রধান অংশীদারদের আর্থিক সহায়তা আমাদের সম্মুখসারির কর্মীদের সুরক্ষা অব্যাহত রাখতে এবং এইভাবে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগীদের সর্বোত্তম ক্লিনিকাল সেবা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সক্ষম করবে।