পাক্ষিক অনন্যা’র এবছরের সম্মাননা পাচ্ছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. সায়েবা আক্তার। প্রতিবছরের মতো এবারও পাক্ষিক অনন্যা বর্ষব্যাপী আলোচিত-আলোকিত দশ কৃতী নারীকে সম্মাননা প্রদান করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম কৃতি নারী হলেন দেশের অন্যতম চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. সায়েবা আক্তার।
সারা বিশ্বে প্রতি দুই মিনিটে একজন করে প্রসূতি মায়ের মৃত্যু ঘটছে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে। এর ৩০ শতাংশের জন্য দায়ী প্রসবকালীন রক্তক্ষরণ। এই চিরাচরিত ভয়ঙ্কর চিত্রটি বদলে দিতে বিস্ময়কর অবদান রাখেন বাংলাদেশের চিকিৎসক ডা. সায়েবা আক্তার।
‘সায়েবাস মেথড’ নামের এই পদ্ধতি আজ অজস্র নারীর জীবন বাঁচানোর এক মোক্ষম উপায় হিসেবে স্বীকৃত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে।
বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও আফ্রিকা মহাদেশ ও দক্ষিণ আমেরিকার এক ডজন দেশে সরকারি কর্মসূচির অংশ হয়ে উঠেছে এই পদ্ধতি। নেপাল ও পূর্ব তিমুরেও এটা ব্যবহৃত হচ্ছে।
২০০৯ সালে যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত ব্রিটিশ জার্নাল অব অবসটেট্রিকস অ্যান্ড গাইনোকোলজিতে এই পদ্ধতির ওপর পর্যালোচনা ছাপা হয়। ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অব অবসটেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টসের পক্ষ থেকে তাকে তার উদ্ভাবনের জন্য সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ছিলেন অধ্যাপক সায়েবা আক্তার। চাকরি থেকে অবসরের পর রাজধানীর মগবাজারে ‘মামস ইনস্টিটিউট অব ফিস্টুলা অ্যান্ড ওমেনস হেলথ’ নামের একটি চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করেন। গরিব দুস্থ ফিস্টুলা রোগীদের এখানে তিনি পরম মমতায় চিকিৎসা করেন।
আগামী ২৩ মার্চ শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে ‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ২০১৮’ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক প্রকাশক তাসমিমা হোসেন স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এবারের সম্মাননাপ্রাপ্ত অন্য নারীরা হলেন পারভীন মাহমুদ (ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন), শামসুন্নাহার (প্রশাসন), আফরোজা খান (উদ্যোক্তা), সোনা রানী রায় (কুটিরশিল্প), লাইলী বেগম (সাংবাদিকতা), নাজমুন নাহার (তারুণ্যের আইকন), সুইটি দাস চৌধুরী (নৃত্যশিল্পী), রুমানা আহমেদ (খেলাধুলা) ও ফাতেমা খাতুন (প্রযুক্তি)।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সাল থেকে অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিবছর নিজ নিজ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ১০জন বিশিষ্ট নারীকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।