প্রধান খবর

স্টেম সেল প্রতিস্থাপনে যুক্তরাজ্যে ভালো হলো এইডস রোগী

Published

on

যুক্তরাজ্যে এইডস আক্রান্ত এক রোগীকে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করে এইচআইভি ভাইরাস মুক্ত করতে পেরেছেন চিকিৎসকরা।

বিশ্বে এ নিয়ে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা এ সাফল্য পেলেন। বিজ্ঞান বিষয়ক ন্যাচার সাময়িকীর প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।

রোগীর নাম প্রকাশ না করে তাকে বলা হচ্ছে লন্ডন রোগী। বিবিসি জানায়, ২০০৩ সালে তার এইচআইভি সংক্রমণ ধরা পড়েছিল এবং ২০১২ সালে তার হজকিন লিম্ফোমা ক্যান্সার ধরা পড়ে।

ক্যান্সারের চিকিৎসা চলার মাঝেই চিকিৎসকরা তাকে এইচআইভি মুক্ত করলেন।কেমোথেরাপি দিয়ে ক্যান্সারের চিকিৎসা করার পাশাপাশি এইচআইভি প্রতিরোধী একজনের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে পাওয়া স্টেম সেল ওই রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।

এরপর তার শরীরে ক্যান্সার এবং এইচআইভি দুয়েরই বিস্তার কমে আসে।খুঁজে পাওয়া যায়নি ভাইরাসের অস্তিত্ব। অন্তত ১৮ মাস ধরে তিনি এইচআইভি মুক্ত আছেন এবং আর এইচআইভি প্রতিরোধক ওষুধও নিচ্ছেন না।

Advertisement

তবে গবেষকরা বলছেন, রোগী এইচআইভি ভাইরাস মুক্ত হলেও সুস্থ হয়ে গেছেন—তা বলার সময় এখনো আসেনি।

রোগীর চিকিৎসায় জড়িত ছিলেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন,ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন, কেমব্রিজ ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।

তারা জানান, দ্বিতীয়বারের মত কোনো রোগীকে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং ফলস্বরূপ এইচআইভি থেকে তিনি আপাতত রেহাই পেয়েছেন।

১০ বছর আগে বার্লিনে এক রোগীকে প্রাকৃতিকভাবে এইচআইভি প্রতিরোধে সক্ষম এক দাতার কাছ থেকে বোন-ম্যারো নিয়ে তা প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল।ওই রোগী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক টিমোথি ব্রাউন; যিনি ‘দ্য বার্লিন পেশেন্ট’ নামেও পরিচিত।

বলা হয়, ব্রাউনই প্রথম ব্যক্তি যিনি এইডস’কে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ব্রাউনের শরীরে দুইবার বোন-ম্যারো প্রতিস্থাপন করা হয় এবং লিউকোমিয়ার জন্য তার সারা শরীরে রেডিও থেরাপি দেওয়া হয়।

Advertisement

গবেষকদের একজন অধ্যাপক রবীন্দ্র গুপ্তা বলেন, “দ্বিতীয় রোগীকে একই চিকিৎসা দিয়ে তার রোগের উপশম করতে সক্ষম হওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা দেখাতে পেরেছি দ্য বার্লিন পেশেন্টের ঘটনা ব্যতিক্রম ছিল না। সত্যিকার ভাবে ওই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে দুই ব্যক্তির শরীর থেকে এইচআইভি ভাইরাস দূর করা গেছে।”

স্টেম সেল প্রতিস্থাপন এইচআইভি ভাইরাস নির্মূলের লড়াইয়ে নতুন আশা জাগিয়ে তুলেছে বলেই মনে করেন ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক এদুয়ার্দো ওলাভারিয়া।

তবে তিনি বলেন, “এ পদ্ধতিকে এখনই এইচআইভি চিকিৎসায় মানসম্মত পদ্ধতি বলা যাবে না। কারণ, এখানে লিম্ফোমার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির মত বিষাক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারের প্রয়োজন পড়েছে।”

Trending

Exit mobile version