সকল হাসপাতালে প্রথমশ্রেণীর ফার্মাসিস্টদের নিয়োগ দেয়ার দাবি

বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবার সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে রয়েছে ঔষধ শিল্প। আর এসব ঔষধ মানুষের দোরগোড়ায় পৌছানোর ক্ষেত্রে যারা অবদান রাখেন তারা হলেন ফার্মাসিস্ট। ফার্মাসিস্টরা চিকিৎসা সেবায় অবদান রেখে আসলেও তাঁদের দীর্ঘ দিনের দাবি হলো স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নের স্বার্থে সকল হাসপাতালে প্রথমশ্রেণীর ফার্মাসিস্টদের নিয়োগ দেয়া।

‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা: সবার জন্য সর্বত্র’ ফার্মাসিস্টদের ভুমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ফার্মেসি গ্র‍্যাজুয়েটস অ্যাসোসিয়েশনের সভায় এই দাবি করা হয়।

এসময় ফার্মাসিস্টদের সকল দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ফার্মাসিস্টদের সকল দিক বিবেচনা করে তাঁদের পাশে সকল চিকিৎসকদের দাঁড়ানো উচিত।

সাধারণ সম্পাদক এম আমিনুল ইসলামের উপস্থাপনায় ও বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট ফোরামের সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ঔষধ শিল্পের অহংকার ফার্মাসিস্ট, আর ফার্মাসিস্টদের অবস্থান ডাক্তারদের পরেই।

অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক ফার্মাসিস্টদের বিভিন্ন প্রত্যাশা কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফার্মাসিস্টস ফোরামের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহম্মেদ সৈকত, এসময় তিনি সরকারের নিকট ফার্মাসিস্টদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ ফার্মাসিস্টস ফোরামে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ এর লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান, অধ্যাপক শীতেশ চন্দ্র বাছার, স্বাধীনতা ফার্মাসিস্ট পরিষদের আহবায়ক সেলিম আজাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি, বাহাদূর বেপারীসহ অনেকে।

বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবার প্রতিটি ক্ষেত্রে পাশে থাকুক ফার্মাসিস্টগণ, আর সকল প্রত্যাশা পূরণ হোক তাঁদের।

Exit mobile version