সিজারের কাটা দাগ হালকা করতে মাসাজ বেশ উপকারী

সন্তান জন্মের পর সিজারের দাগ দূর করতে চিকিৎসকরা নানা চিকিৎসার কথা বলে থাকেন। এর মধ্যে একমাত্র মাসাজই বাড়িতে করা যায়। তবে মাসাজের আগে মাথায় রাখতে হবে চিকিৎসকের বেশ কিছু পরামর্শ। কখন করবেন ও কীভাবে করবেন তা এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। জানুন এ সম্পর্কিত বিস্তারিত….

১. সিজারের কাটা জায়গা শুকানোঃ সিজারের ক্ষত শুকানোর আগে দাগ দূর করার কথা মাথায় আনা যাবে না। ক্ষত না-শুকালে মাসাজ বা অন্য যে কোনও চিকিৎসাই ক্ষতিকারক হতে পারে মায়ের জন্য। একমাত্র আপনার ডাক্তার যদি বলেন ক্ষত সম্পূর্ণ শুকিয়ে গিয়েছে, তখনই দাগ দূর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করুন।

২. নিয়ম অনুসারে মাসাজ করুনঃ মাসাজ সব সময় ক্লকওয়াইজ বা অ্যান্টিক্লকওয়াইজ করতে হয়। তবে হ্যাঁ, যে কোনও একদিকেই সবসময় করা উচিত। একই সঙ্গে দু’দিকেই মাসাজ করা উচিত নয়। মাসাজ যখনই করবেন, তখন শুয়ে থাকাই শ্রেয়। বসে মাসাজ করালে সিজারের পুরো অংশে আঙুলের চাপ সমানভাবে পড়ে না।

৩. ব্যথা হলে মাসাজ করা যাবে নাঃ সিজার হওয়া অংশের বাইরের ঘা শুকিয়ে গেলেও ভিতরের অংশ শুকোতে কিছুদিন সময় নেয়। তাই মাসাজের সময় ব্যথা অনুভূত হতেই পারে। ব্যথা অনুভব করলে মাসাজ করা বন্ধ রাখুন। কিছুদিন পর আবার মাসাজ করুন। দেখে নিন ব্যথা কমেছে কি না।

কি দিয়ে মাসাজ করবেন?

– এলোভেরা জেল

– নারিকেল তেল বা ভিটামিন-ই তেল

– লেবুর রস অথবা

– আলুর রস ঠিক কিভাবে মাসাজ করতে হয় সেটা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে দেখে নিতে হবে। এছাড়াও ইন্টারনেটে এই মাসাজের বিভিন্ন ভিডিও থেকে সঠিক উপায়ে মাসাজ করা সম্ভব। তবে জেনে রাখা ভালো, সিজারের কাটা দাগ দূর করতে অনেক রকম উপায় আবিষ্কৃত হলেও এই দাগ সম্পূর্ণভাবে দূর করা অসম্ভব। সিজারের কাটা দাগ চিরকালের মতো অল্প হলেও থাকবেই।

Exit mobile version