এখন কমবেশি সবাই স্বাস্থ্যসচেতন। সুস্থ থাকতে তাই কেউ যাচ্ছেন জিমে, কেউবা করছেন ডায়েট। এগুলোর পাশাপাশি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে দেহে সব পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ সঠিক মাত্রায় আছে কিনা, সে বিষয়ে সচেতন থাকা দরকার। দেহের উপাদানের কথা বলতে সবার আগে যে উপাদানটির কথা আসে, তা হলো প্রোটিন। দেহের শক্তির অন্যতম প্রধান উৎস এ প্রোটিন। প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে অনেক খাবারই আমরা খেয়ে থাকি। খাবারের সঙ্গে সঙ্গে প্রোটিনের অভাব দূর করতে বিভিন্ন ফলের জুসও দারুণ ভূমিকা রাখে। কোন কোন ফলের জুস প্রোটিনের চাহিদা পূরণে কাজ করে, তা নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।
পাকা কলার জুস
কলার অনেক গুণাগুণ রয়েছে। কলা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। পটাশিয়ামের অভাব দূর করতে ব্যাপক সাহায্য করে। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা শরীরের দুর্বলতা ও ক্লান্তিভাব দূর করে। পেট ফোলা, গ্যাসের সমস্যা দূরীকরণ এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও কলা বেশ উপকারী। কলা যেমন কাঁচা খাওয়া যায়, তেমনি জুস তৈরি করেও পান করা যায়। এক কাপ কলার জুসে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে প্রায় ২১ গ্রাম। গোটা কিংবা জুস—যেটাই খান না কেন, শরীরের জন্য উপকার নিশ্চিত।
আদার জুস
এ শীতের জন্য আদার জুস একদম জুতসই। প্রাচীনকাল থেকেই আদার নানা উপকারিতার কথা শোনা যায়। আদা সাধারণত রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এ আদা জুস করেও খাওয়া যায়। এতে সামান্য চিনি যুক্ত করতে পারেন। এক কাপ আদার জুসে ২৭ গ্রামের মতো প্রোটিন থাকে। বলা হয়, চারটি ডিমে এ পরিমাণ প্রোটিন বিদ্যমান। আরো সুস্বাদু করে খেতে চাইলে আদার সঙ্গে দারচিনি, জয়ফল, এলাচ—সবগুলো যুক্ত করে একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। দারুণ ফ্লেভার আসবে, তেমনি খেতেও সুস্বাদু লাগবে। পাশাপাশি শারীরিকভাবে সুস্থও থাকবেন।
ব্ল্যাকবেরি জুস
ব্ল্যাকবেরি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এটি খুব উপকারী। প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে এ ফলে। এ ফল ডায়াবেটিস ও হূদরোগের মতো রোগের ঝুঁকি পর্যন্তও কমায়। মিষ্টি রসাল ছোট আকারের ফলটি গোটা খাওয়া যায়। গোটা খেতে না চাইলে জুস তৈরি করে খান। এক কাপ ব্ল্যাকবেরির জুসে ২১ গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রোটিনের পরিমাণ আরো বাড়াতে চাইলে ব্ল্যাকবেরির সঙ্গে দুই কাপ দুধ, বাদাম এবং একটু মিষ্টি স্বাদ আনতে মধু যুক্ত করতে পারেন।
আপেলের জুস
বলা হয়, ‘যদি দিনে একটা আপেল খান, তাহলে আপনাকে যেতে হবে না ডাক্তারের কাছে।’ আপেলে যে পুষ্টি উপাদান থাকে, তা শারীরিক বৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আপেলের জুস তৈরিতে এর সঙ্গে একটু দারচিনি যুক্ত করতে পারেন। এক কাপ আপেলের জুসে ১৪ গ্রাম প্রোটিন বিদ্যমান। এখন শীতের সময়। অনেকেই ঠাণ্ডার সমস্যায় ভুগতে থাকেন। ঠাণ্ডার সমস্যা কাটাতে খেতে পারেন আপেলের জুস। কফের সমস্যা দূরীকরণে আপেল বেশ কার্যকর।
শসার জুস
স্বাস্থ্যকর ও সহজলভ্য বলে সারা বছরই আমরা শসা খাই। শসা সাধারণত রান্না ও সালাদ আকারে খাওয়া হয়। কাঁচা ও রান্না করা শসার মতো এর জুসেও রয়েছে পুষ্টিগুণ। শসার জুস রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শসার জুসে প্রোটিন পাউডার, ক্রিমি বাদামের মাখন যোগ করতে পারেন। এক কাপ শসার জুস ২৭ গ্রাম প্রোটিন সরবরাহ করে।