জীবন রক্ষায় ওষুধ ও চিকিৎসার পেছনে ছোটে মানুষ। মানুষের অসুস্থতাকে পুঁজি করে দেশে বেশ রমরমা চিকিৎসা বাণিজ্য। স্বাস্থ্য খাতে ব্যক্তির ব্যয় বাংলাদেশের মতো এত পরিমাণে আর কোনো দেশে নেই। সব ধরনের ওষুধের দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। এতে করে নাজুক অবস্থায় পড়েছেন দেশের মানুষ।
দেশের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের তথ্য বলছে, বর্তমানে একজন রোগীর পেছনে যে ব্যয় হয়, তার ৭৩ শতাংশই সেবাগ্রহীতা ব্যক্তিকে বহন করতে হয়। চিকিৎসার এই ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে প্রতিবছর দেশে ৮৬ লাখ মানুষ আর্থিক সমস্যায় পড়েন। ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে ১৬ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নেওয়া থেকে বিরত থাকেন। অর্থাৎ প্রায় তিন কোটি মানুষ প্রয়োজন হলেও চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে যান না। একজন রোগীকে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে রোগ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। চিকিৎসকের ফি ছাড়াও প্যাথলজি টেস্ট, ওষুধ, হাসপাতালের আনুষাঙ্গিক খরচ এমনকি যাতায়াতসহ নানাভাবে একজন রোগীকে অন্তত ৭৫ শতাংশ খরচ গুণতে হয়, যা কাছের দেশে মালদ্বীপে মাত্র ২০ শতাংশ। ওই দেশে চিকিৎসা সেবার পেছনে রোগীকে শতকরা ২০ টাকা হারে ব্যয় করতে হয়। সেই তুলনায় বাংলাদেশে এই খরচ বৃদ্ধির হার প্রায় ৫৫ শতাংশ বেশি।
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে সংস্থাটি ২০২০ সালের গবেষণা জরিপ প্রকাশ করে। এই জরিপ অনুযায়ী দেশে চিকিৎসা খাতে মানুষের ব্যয় ৪৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
ওষুধ বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রায় দুই বছরে এই ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকা। গত তিন মাসে কোনো কোনো ওষুধ ও ওষুধসামগ্রীর দাম ৩৫-৪০ শতাংশ বাড়ায় চিকিৎসা ব্যয় ৫০ হাজার কোটি টাকাও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, ওষুধের দামসহ চিকিৎসা ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বা ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ নিশ্চিত করতে হলে ব্যক্তির ওপর স্বাস্থ্য বা চিকিৎসা ব্যয়ের চাপ কমাতে হবে। এই চাপ কমাতে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট ২০১২-২০৩২ সাল মেয়াদি একটি কৌশলপত্র তৈরি করে। ২০১২ সালের ওই কৌশলপত্রে বলা হয়েছিল, ক্রমান্বয়ে ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় কমিয়ে আনা হবে এবং ২০৩২ সালে ব্যক্তির ব্যয় কমে স্বাস্থ্য ব্যয় হবে ৩২ শতাংশ। যখন ওই কৌশলপত্র করা হয়েছিল, তখন ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় ছিল ৬৪ শতাংশ। কিন্তু সে ব্যয় আর কমেনি। ২০১৫ সালে ব্যক্তির ব্যয় ৬৪ থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশ, ২০২০ সালে ৬৮ দশমিক ৫ শতাংশে ঠেকে। পরবর্তী দুই বছর ২০২১ ও ২০২২ সালে এই ব্যয় ৭৩ শতাংশ হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের গবেষণা বলছে, ২০১৫ সালে একজন মানুষের চিকিৎসা ব্যয় ছিল ৩৭ ডলার। সরকার বহন করে ৯ ডলার, বিভিন্ন দাতা সংস্থা দেয় ৪ ডলার আর বাকি ২৪ ডলারই খরচ হয় জনগণের পকেট থেকে। বর্তমানে সেই ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ শতাংশে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষদের।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গণমানুষের চিকিৎসা ব্যয় কমাতে বিমার পাশাপাশি অঞ্চলভিত্তিক বাজেট প্রণয়ন কাজে আসবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চিকিৎসা ব্যয়ে ব্যক্তির সিংহভাগ টাকা চলে যায় ওষুধের পেছনে। অর্থাৎ বছরে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে মোট ১০০ টাকা খরচ করলে তার মধ্য থেকে ৬৪ টাকা চলে যায় ওষুধ কিনতে।

চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে দেশের মানুষের ওপর আর্থিক চাপ বাড়ছে
ব্যক্তির ব্যয়ের অন্য খাতটি হাসপাতাল। ১২ শতাংশ টাকা ব্যয় হয় হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেওয়ার কারণে। আর হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে সেবা নিতে ১১ শতাংশ ব্যয় হয়। অন্যদিকে ৮ শতাংশ ব্যয় হয় ল্যাবরেটরির পরীক্ষা-নিরীক্ষা, এক্স-রেসহ নানা ধরনের সেবার পেছনে। বাকি ৫ শতাংশ অর্থ চলে যায় স্বাস্থ্যসেবায় জড়িত পেশাজীবীদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের পেছনে।
সম্প্রতি রাজশাহী সদর হাসপাতাল পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে এই খাতে আরও বেশি বরাদ্দ চাওয়া হবে।
গবেষণা বলছে, দেশের চিকিৎসা সেবায় ব্যক্তিগত খরচ শতকরা ৭৩ টাকা। অর্থাৎ চিকিৎসা সেবায় কেউ যদি ১০০ টাকা খরচ করে সেখানে ব্যক্তিগত খরচ করতে হয় ৭৩ টাকা। বাকিটা সরকারি খরচ।
আফগানিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ব্যক্তিগত চিকিৎসা ব্যয় বাংলাদেশিদের। মালদ্বীপ ও ভুটানে চিকিৎসার জন্য ব্যক্তিগত খরচ প্রায় ২০ ভাগের নিচে। শ্রীলঙ্কায় ৪৫ ভাগ আর ভারত পাকিস্তানে ৫৩ থেকে ৫৪ ভাগ ব্যক্তিগত খরচ করতে হয় চিকিৎসায়। সেখানে বাংলাদেশে চিকিৎসা খরচ ব্যক্তির পকেট থেকে দিতে হয় ৭৩ ভাগ।
বাজেটের মাত্র ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বরাদ্দ থাকে চিকিৎসা খাতে। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে এটা হওয়া উচিত ১০ কিংবা ১৫ এর ওপরে। জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয় করা উচিত চিকিৎসা খাতে অথচ সেখানে বাংলাদেশে ব্যয় মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র, ডায়াগনোসিস এবং অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার ফলেই মূলত চিকিৎসা খাতে মানুষের ব্যক্তিগত খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
গবেষকেরা বলছেন, দেশের মানুষ কোন হাসপাতাল বা কার কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে, সেটিও ব্যয়ের ওপর প্রভাব ফেলে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ কম। কিন্তু মাত্র ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ মানুষ সরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে যায়। আর ৮৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা নেয় বেসরকারি খাত থেকে। এর মধ্যে এনজিও পরিচালিত প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নেয় ১ শতাংশের কম মানুষ। সেখানে খরচ তুলনামূলক কম। বেসরকারি খাতে অন্য যেসব জায়গা থেকে মানুষ চিকিৎসা নেয়, সেখানে খরচ অনেক বেশি এবং তাতে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক সরকার বলেন, ‘স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের তথ্যানুসারে আগে চিকিৎসা ব্যয়ে আমাদের খরচ অনেক কম হতো। ২০১৫ সালে ৬৭ ভাগ আমাদের চিকিৎসা ব্যয় ছিল। সর্বশেষ আসা রিপোর্টে দেখা গেছে, ৬৮ দশমিক ৫ ভাগ খরচ হচ্ছে। বাংলাদেশের মতো জায়গায় এভাবে ব্যক্তিগত চিকিৎসা ব্যয় বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো- ডাক্তার দেখানো ছাড়াই আমরা ওষুধ কিনে থাকি। ডাক্তার না দেখিয়ে ওষুধ কেনার ফলে অনেক সময় আমাদের অতিরিক্ত ওষুধ কিনতে হয়। ফলে আমাদের ব্যক্তিগত চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। তবে ওষুধের দামও বেড়েছে। চিকিৎসা ব্যয় ৬৪ ভাগই হয় ওষুধে। তবে অতিরিক্ত ওষুধ কেনার ফলেই আমাদের ব্যক্তিগত চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।’
চিকিৎসা ব্যয় কমাতে সঠিক পরিমাণে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
ওষুধের দাম কমানোসহ মানুষ যাতে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ কেনেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রতিও জোর দেন এই স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ। চিকিৎসা খাতে সরকারি বাজেট আরও বাড়ালে ব্যক্তিগত খরচ কমে যাবে।
ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া যেনতেনভাবে ওষুধের ব্যবহার রোধ করতে হবে বলে মত দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. আবু জামিল ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘দেশের ফার্মেসিগুলোতে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক এবং ঘুমের ওষুধ বিক্রি হয়ে থাকে। অনেকেই জানেন না যে রোগ অনুযায়ী কী পরিমাণ ওষুধ তাকে খেতে হবে। বিষয়গুলো তদারকি করা উচিত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। একই সঙ্গে মানুষের মধ্যে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এবং অতিরিক্ত ওষুধ সেবন বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এভাবে ওষুধ খাওয়া একেবারেই বন্ধ করতে হবে।’
প্রাইভেট সেক্টর থেকে ব্যবস্থাপত্র পাওয়া ব্যয়বহুল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতাল থেকে আরও বেশি করে রোগীদের জন্য ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র পাওয়া সহজতর করতে হবে।’
পরীক্ষা ছাড়া কোনো ডাক্তারই এখন ব্যবস্থাপত্র দিতে চান না জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘ওষুধের পর সবচেয়ে বেশি খরচ হয় এই অতিরিক্ত ডায়াগনোসিসে। ব্যবস্থাপত্রে এমন অতিরিক্ত ডায়াগনোসিস বন্ধে আইন করা উচিত।’
এখন যেভাবে আছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, গোটা স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। তাহলে স্বাস্থ্য ব্যয় কমানো সম্ভব হবে। বাজেট বাড়িয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না বলেও জানান তিনি। চিকিৎসা খাতে ব্যক্তিগত ব্যয় কমানোর বিষয়টি এখন আলোচনায় আসছে বলে ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ুব হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে সেলফ মেডিকেশনের ফলে মানুষ অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে থাকেন। ফলে ব্যক্তিগত খরচ বেড়ে গেছে।
অন্য দেশের চেয়ে আমাদের দেশে ওষুধের দাম এখনও অনেক কম জানিয়ে আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘সরকার মানুষকে বিনামূল্যে যে পরিমাণ ওষুধ দিচ্ছে তা যথেষ্ট। এখন আমাদের দেখতে হবে মানুষের বেশি খরচ হয় চিকিৎসক দেখানো, ওষুধ কেনা নাকি ডায়াগনসিসে। সেটা খুঁজে বের করে প্রতিরোধ করলেই চিকিৎসায় ব্যক্তিগত খরচ কমানো সম্ভব।’
রাজধানীর মৌচাক এলাকায় কথা হয় আফরোজা আক্তারের সঙ্গে। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘দিন দিন ওষুধের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে মাঝে মাঝে ওষুধ না খেয়েই থাকি। যদিও ওষুধ না খেলে আমার উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়। কিন্ত কী করব, সংসারের খরচও তো বেড়ে গেছে অনেক বেশি।’
রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকার হাসান ফার্মেসির কর্ণধার তওফিক হাসান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘প্রতিদিন নানান ধরনের মানুষ আসে ওষুধ নিতে। কেউ ব্যবস্থাপত্র আনেন আবার কেউ আনেন না। সবার কাছেই ওষুধ বিক্রি করি। তবে ঘুমের ওষুধসহ আরও কয়েকটি ওষুধ ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া দিই না।’
হাসান ফার্মেসিতেই ঘুমের ওষুধ কিনতে এসেছেন পঞ্চাশোর্ধ আব্দুস সোবহান। তিনি বলেন, ‘ওষুধের পেছনেই আমার অনেক টাকা ব্যয় হয়ে যায়। প্রতিদিন ঘুমের ওষুধ না খেলে ঘুম আসে না। তাই বাধ্য হয়েই নিয়মিত এই ওষুধ খেয়ে থাকি।’
ডাক্তারের কোনো ব্যবস্থাপত্র আছে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনেক আগে একবার নিয়েছিলাম। তারপর থেকে গত চার বছর ধরে নিয়মিতই খাচ্ছি।’
সবচেয়ে বেশি (৬০ শতাংশ) মানুষ সেবা নেয় ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক’ সেবাদানকারীদের থেকে। এর মধ্যে আছে ওষুধের দোকান, হাতুড়ে চিকিৎসক। ব্যক্তি নিজেও অনেক সময় নিজের চিকিৎসা করেন বা ওষুধ কিনে খান। বেসরকারি খাতে ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা নেন চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বার থেকে। বাকি ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা নেন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা কম নেওয়ার কারণে, অর্থাৎ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর বেশি নির্ভরশীলতার কারণে ব্যক্তির চিকিৎসা ব্যয় বেশি।