বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে নোভেল করেনাভাইরাস। বাংলাদেশে এরই মধ্যে করোনাভাইরাসে তিনজন শনাক্ত হয়েছেন। নোভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পাঁচ ধরনের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
১. ভালোভাবে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে
২. হাত না ধুয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ না করা
৩. হাঁচি–কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখা
৪. অসুস্থ পশু বা পাখির সংস্পর্শে না আসা
৫. মাছ, মাংস ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জরুরি প্রয়োজনে ছাড়া চীন ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে। এমনকি প্রয়োজন ছাড়া এই সময়ে বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করতে বলা হয়েছে।
যেভাবে ছড়ায় করোনাভাইরাস
এক. আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি–কাশির মাধ্যমে
দুই. আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে ছড়ায়
তিন. পশু, পাখি বা গবাদিপশুর মাধ্যমে ছড়ায়
করোনাভাইরাস কি
করোনা একধরনের সংক্রামক ভাইরাস। ভাইরাসটি পশু-পাখি থেকে সংক্রমিত হয়ে থাকে। চীনসহ পৃথিবীর শতাধিক দেশে বর্তমানে (মার্স ও সার্স সমগোত্রীয় করোনাভাইরাস) এর সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। কেউ যদি এসব দেশ ভ্রমণ করে থাকেন এবং ফিরে আসার ১৪ দিনের মধ্যে জ্বর ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট থাকে, গলাব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তাহলে তাঁর করোনাভাইরাসে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
প্রয়োজনে আইইডিসিআরের নিচের নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়