কনডম ছাড়াও জন্ম নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল। বাধাহীনভাবে যৌন মিলন করার জন্য অনেক নারীই জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল বা খাবার বড়ি ব্যবহার করে থাকেন। জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ব্যবহার করলে অবাঞ্চিত প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা কমে যায়। অরক্ষিত যৌন মিলনের পর ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ইমার্জেন্সি পিল খান অনেক নারীরা।
তবে এই পিল বা বড়ি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা অনেকেরই নেই। এই পিলের সাইড ইফেক্ট বা অপকারী দিকই বেশি। মাসে ১ বারের বেশি বা ঘনঘন ইমার্জেন্সি পিল খাওয়া উচিত নয়। যেসব মায়েরা বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করান তাদের ক্ষেত্রে এই পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি দেখা দিতে পারে। সাধারণত এই পিল গুলো খেলে বুকের দুধের পরিমান কমে যায়। তবে বাচ্চা বুকের দুধ খেলে কোনো সমস্যা হবে না।
তাহলে করণীয় কি? ব্রেস্ট ফিডিং চলাকালে বেশীর ভাগ মহিলাদের পিরিয়ড হয় না, যা গর্ভনিরোধক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তবুও এটাকে শতকরা ১০০ ভাগ নিরাপদ মনে করা যাবে না, কেননা পিরিয়ডের দুই সপ্তাহ আগে একজন মহিলা ovulate করতে পারে। এটাও জানা জরুরী যে ব্রেস্ট ফিডিং শুধুমাত্র তখনই গর্ভনিরোধক হিসেবে কাজ যখন-
- শিশু সম্পূর্ণভাবে ব্রেস্ট ফিডিং এর উপর নির্ভরশীল (ফরমুলা এবংসলিড ফুড না)
- শিশুর বয়স ছয় মাসের কম থাকলে।
- মায়ের যখন পিরিয়ড বন্ধ থাকে এই সময় কনডম গর্ভনিরোধক হিসেবে ব্যাবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। কেননা এসময় পিল সেবনে বুকের দুধ কিছুটা কমে যায়।
তবে, যে কোন গর্ভনিরোধক শুরু করার আগে কোনটি আপনার জন্য প্রযোজ্য তা জেনে নেয়ার জন্য একজন গাইনী ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।