ওজন কমাতে যতটা হাঁটা প্রয়োজন

বয়স এবং কর্মক্ষমতার ওপর ওজন কমাতে হাঁটার পরিমাণ নির্ভর করে। সাধারণভাবে বলা যায়, যারা ওজন কমাতে সবে মাত্র হাঁটা শুরু করেছেন তাদের দিনে অন্তত পাঁচ মাইল হাঁটা উচিত।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘ব্রাজিলিয়ান জার্নাল অফ ফিজিকাল থেরাপি’তে অন্তর্ভুক্ত ২০১৬ সালের একটি গবেষণার বরাত দিয়ে জানানো হয়, স্থূলকায় একজন প্রতিদিন যদি প্রায় ১০ হাজার পদক্ষেপ হাঁটেন (প্রায় ৫ মাইল) তবে সে ১২ সপ্তাহে গড়ে ৩.৪ পাউন্ড বা দেড় কেজি ওজন কমাতে সক্ষম হন।

তবে ইতিমধ্যেই যদি কর্মচঞ্চল থাকেন তাহলেও হাঁটতে হবে ৫ মাইলের মতো।

২০০৮ সালে করা ‘জার্নাল অফ ফিজিকাল অ্যাক্টিভিটি অ্যান্ড হেল্থ’য়ে প্রকাশিত তিন হাজার সুস্থ অংশগ্রহণকারীর পর্যবেক্ষণমূলক একটি গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ওজন কমাতে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সি নারীদের দৈনিক অন্তত ১২ হাজার পদক্ষেপে (প্রায় ৬ মাইল) হাঁটতে হবে।

পুরুষেরও একই দূরত্বে হাঁটতে হবে বয়স ৫০ পর্যন্ত। এরপর মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে ১১ হাজার পদক্ষেপে অর্থাৎ প্রায় সাড় ৫ মাইল।

৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সি নারীদের নিতে হবে ১১ হাজার পদক্ষেপ।

ওজন কমানোর জন্য যখন হাঁটা শুরু করা হয় তখন মনে রাখতে হবে শুধু শারীরিক কর্মকাণ্ডই নয়, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন না করলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাবে না।

‘ওবেসিটি’ জার্নালে ২০১২ সালে করা একটি গবেষণার ফলাফল থেকে জানানো হয়, অংশগ্রহণকারীরা ১২ মাসে শুধু ব্যায়াম করে ২.৪ শতাংশ শরীরের মেদ কমিয়েছেন। অন্যদিকে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং ব্যায়াম করে মেদ কমেছে গড়ে ১০.৮ শতাংশ।

আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, সব ধরনের হাঁটা একই ফলাফল বয়ে আনে না।

‘দি ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ হেল্থ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস’য়ের দেওয়া ‘ফিজিকাল অ্যাক্টিভিটি গাইড লাইনস ফর আমেরিকান্স’য়ে বলা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি-কঠিন মাত্রার ব্যায়াম করা উচিত। অথবা সপ্তাহে ৭৫ মিনিট অতি-কঠিন-অ্যারোবিক-শরীরচর্চা করা দরকার।

দ্রুত হাঁটা হতে পারে মাঝারি-কঠিন মাত্রার ব্যায়াম। আর অতি-কঠিন-অ্যারোবিক-শরীরচর্চা হতে পারে ঢাল বেয়ে দৌড়ে ওঠা, জগিং, পাহাড় বাওয়া ইত্যাদি।

তবে মনে রাখতে হবে, যে কোনো শারীরিক কর্মকাণ্ডই শরীরের মেদ ঝরায়। আর দিন শেষে সেটাই শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

Exit mobile version