পিরিয়ড কি? কেন হয়? করনীয়? কিছু ভ্রান্ত ধারনা…

মাসিক ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড মেয়েদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মাসিক নিয়মিত ও সঠিকভাবে হওয়ার অর্থ হচ্ছে সে নারী সন্তান ধারণে সক্ষম। এক সময়ে মাসিককে অপবিত্র ও নোংরা বলে মনে করা হত। এই দৃষ্টিভঙ্গী অনেকটা পরিবর্তন হলেও এখনো এ নিয়ে মেয়েদের এবং মায়েদের মধ্যে অনেক ভুল ধারনা বিদ্যমান। এখনো বেশিরভাগ মায়েরা মনে করেন এটা হল শরীরের খারাপ রক্ত, যা যত বেশি বের হয় ততই ভালো

পিরিয়ড কী?
প্রতি চন্দ্রমাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে।

একজন নারীর পিরিয়ড তাকে প্রতি মাসে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে। আরেকটু সহজ ভাষায় বললে, আমরা শুধু জানি বাচ্চা হওয়ার জন্য পিরিয়ড হয়। তো বাচ্চা হওয়ার জন্য পিরিয়ড কেন হওয়া লাগে? কারণ, প্রতিমাসে মেয়েদের গর্ভাশয় তার বাইরের আবরণটাকে শক্ত করে যেন গর্ভবতী হওয়ার পর বাচ্চাকে আশ্রয় দিতে পারে। কিন্তু পরে যখন ভ্রূণ নিষিক্ত হয় না তখন সে তার সেই শক্ত আবরণটাকে ছিঁড়ে ফেলে আবার পরের মাসের জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে। যে কারণে মেয়েদের শরীরের ভেতরের একটা অঙ্গ ছিঁড়ে সেটা সেই রক্তের সাথে বের হয়ে যায়। এই পুরো প্রক্রিয়া গড়ে ২৮ দিনের মধ্যে হয়।

 

 

পিরিয়ড ফেজ:

এর তিনটি অংশ-
১) মেন্সট্রুয়াল ফেজ: ৪ দিন স্থায়ী হয় (৪-৭ দিন)
২) প্রলিফারেটিভ ফেজ : ১০ দিন স্থায়ী হয় (৮-১০ দিন)
৩) সেক্রেটরি ফেজ: ১৪ দিন স্থায়ী হয় (১০-১৪ দিন)

পিরিয়ড প্রক্রিয়া:
মেন্সট্রুয়াল ফেজ: এই যোনি পথে রক্ত বের হয়। ৪-৭ দিন স্থায়ী এই রক্তপাতে ভেঙ্গে যাওয়া রক্তকনিকা ছাড়াও এর সাথে শ্বেত কনিকা, জরায়ুমুখের মিউকাস, জরায়ুর নিঃসৃত আবরণী, ব্যাকটেরিয়া, প্লাজমিন, প্রস্টাগ্লানডিন এবং অনিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে থাকে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের যৌথ ক্রিয়ায় এই পর্বটি ঘটে।

প্রলিফারেটিভ ফেজ: ৮-১০ দিন স্থায়ী হতে পারে। শুধু ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে এটি হয়। এই সময় জরায়ু নিষিক্ত ডিম্বাণুকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্ততি নেয়।

সেক্রেটরি ফেজ: সবচেয়ে দীর্ঘ, প্রায় ১০-১৪ দিন। একে প্রজেস্টেরন বা লুটিয়াল ফেজ-ও বলা হয়। এটিও ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন উভয় হরমোনের যৌথ কারণে হয়। এই সময় নিষিক্ত ডিম্বাণুর বৃদ্ধির জন্য জরায়ু সর্বোচ্চ প্রস্ততি নিয়ে থাকে| ডিম্বাশয়ের কোনো ডিম্বাণু শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত না হলে জরায়ু আবার মেন্সট্রুয়াল ফেজ-এ চলে যায়। এভাবেই পূর্ণ বয়স্ক মেয়েদের ঋতুচক্র চলতে থাকে।

পিরিয়ড-এ রক্তপাতের পরিমাণ :

প্রতি পিরিয়ডে এক কাপেরও কম রক্ত নিঃসৃত হয়। সাধারণত প্রথম দুই দিন বেশি রক্ত নিঃসৃত হয়। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি-এর স্কুল অব মেডিসিনের মতে-প্রতি মাসে কয়েক চামচ থেকে বড়জোর এক কাপ পরিমাণ রক্ত বের হয় শরীর থেকে। যদি ব্যবহার শুরু করার ২ ঘণ্টার কম সময়ে প্যাড সম্পূর্ণ ভিজে যায় তাহলে বুঝতে হবে এটা স্বাভাবিক নয়। জরায়ুর মুখে ক্যান্সার, টিউমার, ওভারিয়ান সিস্ট ইত্যাদি কারণে পিরিয়ড-এ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে। তাই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে লজ্জা না পেয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

স্যানিটারি প্যাড বা ন্যাপকিন ব্যবহারের নিয়ম:
বাজারে এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ড-এর, বিভিন্ন ধরনের স্যানিটারি ন্যাপকিন বা প্যাড পাওয়া যায়। যে ধরনেরই হোক না কেন তা কোনভাবেই দীর্ঘক্ষণ পরা উচিত নয়। পিরিয়ড-এর প্রথম দুই-তিন দিন একটু বেশী রক্তক্ষরণ হয়, তাই দুই ঘন্টা পরপর প্যাড পরীক্ষা করে দেখা উচিত। যদি প্যাড শুকনো না থাকে অর্থাৎ উপরের অংশে রক্ত ভেসে আসতে দেখা যায় তবে সাথে সাথে তা চেঞ্জ করা উচিত এবং কোনভাবেই চার ঘণ্টার বেশি একটি প্যাড পরা উচিত নয়।

কিন্তু চতুর্থ বা পঞ্চম দিন থেকে রক্তস্রাবের পরিমাণ কিছুটা কমে আসে। এসময় অনেকেই আছেন যারা একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন কম ব্লিডিং হয়েছে ভেবে দীর্ঘসময় ধরে ব্যবহার করেন। এতে করে সেই রক্ত দ্রুত শুকিয়ে সেখানে জীবানুর আক্রমণ হয় যা যোনিপথের সংস্পর্শে এসে চুলকানি, ফোঁড়া, যৌনাঙ্গের নানান রকম অসুখ ও ফাঙ্গাল ইনফেকশন ইত্যাদি সৃষ্টি করে। লোভনীয় বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত হয়ে মেয়েরা চব্বিশ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকে। কিন্তু এ ধরনের প্যাড দীর্ঘসময় শুকনো রাখার জন্য ‘সেলুলোজ জেল’ নামক উপাদান ব্যবহার করা হয় যা জরায়ুমুখের ক্যান্সার-এর জন্য দায়ী। তাই এ বিষয়ে নিজ দায়িত্বে সচেতন হতে হবে।

পিরিয়ডের সময় করণীয়:
১. এ সময়ে মেয়েদের পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। যেমন: দুধ, ডিম, শাকসবজি ইত্যাদি খেতে হবে।
২. পরিষ্কার পরিছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
৩. প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে।
৪. অনেক মেয়েরাই এ সময় সাধারণ টুকরা কাপড় ব্যবহার করে থাকেন, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। এ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উত্তম।
৫. ন্যাপকিন ৪-৬ ঘণ্টার বেশি রাখা উচিত নয়।
৬. মাসিকের সময় তীব্র ব্যথা অনুভূত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মনে রাখতে হবে, অস্বাস্থ্যকরভাবে ন্যাপকিন ব্যবহার করলে ভবিষ্যতে জরায়ুর ক্যান্সারসহ অন্যান্য জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আর এ সময় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করলে দেখা দিতে পারে রক্তস্বল্পতাসহ নানা সমস্যা। তাই পরিবারের নারী সদস্যের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এখন থেকেই সতর্ক হন।

পিরিয়ড নিয়ে কিছু ভুল ধারণা
কোনো নতুন খবর আছে নাকি? বিয়ের পর নতুন বউকে এ কথা জিজ্ঞেস করে থাকেন অনেকেই। এতে কোনো লজ্জাবোধ না থাকলেও ঋতুস্রাব নিয়ে কথা বলতে লজ্জার যেন শেষ নেই। তাছাড়া এ মাসিক নিয়ে আমাদের সমাজে রয়েছে নানা কুসংস্কারও৷

লজ্জা আর কুসংস্কারে আমরা আমাদের শরীরের বড় ধরনের ক্ষতি করে ফেলি।

আমাদের এই লজ্জা আর কুসংস্কার ভাঙতে প্রয়োজন ডাক্তার পুরুষ হোক বা মহিলা হোক তাদের সাথে সমস্যার কথা পরামর্শ করা। প্রয়োজন একজন আরেক জনকে বলা, যেন সমস্যার সমাধানটি বের হয়ে আসে। আমাদের অনেকের আবার বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না স্বভাব রয়েছে! তাই এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন।

চুল ধোয়া
ঋতুস্রাব হলে বলা হয়, মেয়েদের দু’দিন চুল ধোয়া উচিত নয়। এটার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বরং চিকিৎসকরা বলে থাকেন মাথায় পানি দিলে মাসিকের ব্যথা অনেকটা কমে এবং এতে আরাম পাওয়া যায়৷

পিরিয়ডের দিনে সাঁতার
আগেরকার দিনে পুকুরে গোসল করতো অনেকেই। তাই হয়ত পানি নোংরা হওয়ার ভয়ে এ নিয়ম চালু হয়েছিল, মাসিক হলে গোসল করা যাবে না। কিন্তু এখনকার গোসলখানায় সে ধরনের কোনো অসুবিধা নেই। এমনকি ট্যাম্পন পরে অনেকে সাঁতারও কাটে এ সময়ে।

অচ্ছুৎ ও অভিশপ্ত
মাসিকের চারদিন মেয়েদের সাথে এমন ব্যবহার করা হয়, যেন তারা অচ্ছুৎ এবং অভিশপ্ত। তাদের গাছে পানিও দিতে দেয়া হয় না। আমাদের সমাজে প্রচলিত ধারণা, তাদের দেয়া পানিতে গাছ নাকি মরে যাবে।

মসলাযুক্ত খাবার
মাসিকের সময় হরমোন বেশি সক্রিয় থাকে। মসলাযুক্ত খাবার তাই না খাওয়া ভালো। কিন্তু অনেক বাড়িতে আচার ছুঁতে দেয়া হয় না মেয়েদের, এতে নাকি আচারও নষ্ট হয়ে যাবে। এমনকি আচার খেতেও দেয়া হয় না তাদের।

যৌন সম্পর্ক নয়
মাসিক চলাকালীন মেয়েদের শরীর কিছুটা দুর্বল থাকে। অনেকের খুব ব্যথা হয়। তাই এ সময়ে মেয়েদের বিশ্রাম করা দরকার। ধর্মীয় আইনেও এ সময়ে মিলনকে হারাম করা হয়েছে। স্বামীর উচিত স্ত্রীকে এ সময় বিশ্রাম দেয়া ও যত্ন নেয়া, যাতে তার কাজের চাপ বেশি না হয়।

রান্নাঘরে ঢুকতে মানা
অনেক হিন্দু পরিবারে মাসিক চলাকালীন মেয়েদের রান্না ঘরে ঢুকতে দেয়া হয় না। বিশেষ করে বড় পরিবারে এ ধরনের কুসংস্কার লক্ষ্য করা যায়, তারা মনে করে এতে খাবার দূষিত হয়। এই ধারণা একেবারেই ভুল৷

বিছানায় শুতে না দেয়া
অনেক পরিবারে মাসিক চলাকালীন মেয়েদের বিছানায় শুতে দেয়া হয় না। মাটিতে শুতে বলা হয়৷ কোনো কোনো পরিবারে তো ঘরে নয়, বরং বাইরে, অর্থাৎ বারান্দায় শুতে দেয়া হয় তাদের৷ অথচ এতে যে ঐ মেয়েটির কষ্ট আরো বেড়ে যায়, তা কেউই লক্ষ্য করে না।

নাপাক রক্ত!
অনেকেই বলে থাকেন, মাসিকের রক্ত নাপাক, মানে অপবিত্র। তাদের ধারণা এই রক্ত দিয়ে জাদু, ঝাড়ফুকও করা যায়। আশ্চর্যের বিষয়, শুধুমাত্র অশিক্ষিত পরিবারে নয়, অনেক শিক্ষিত পরিবারেও এ ধারণা প্রচলিত আছে। অতএব, আমাদের আজকের উত্তরাধিকার এ যুগে এসব কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকা উচিত।

পিরিয়ড নিয়ে বিবিসি বাংলার জরিপ-
যুক্তরাজ্যের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান বলছে, স্কুলের ছেলে ও মেয়েদেরকে ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড সম্পর্কে এক সাথে শিক্ষা দান করা উচিত।

‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ইউকে’ নামের এই সংস্থাটি বলছে, এ নিয়ে কথা না বলাটাই ক্ষতিকর, তাই শ্রেণীকক্ষে এ বিষয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।

এই প্রতিষ্ঠানটি ১৪ থেকে ২১ বছর বয়েসের মেয়েদের ওপর একটি জরিপ চালিয়ে দেখেছে, অর্ধেক মেয়েই এ বিষয়ে কথা বলতে লজ্জা বোধ করে।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ইউকের কর্মকর্তা কেরি স্মিথ বলছেন, আমার মনে হয় পিরিয়ডকে একটা নিষিদ্ধ বিষয় হিসেবে দেখা হয়, ছেলে এবং মেয়েদেরও এ নিয়ে যথেষ্ট বলা হয় না।

জরিপে অংশ নেয়া মেয়েদের প্রতি সাতজনের একজন বলেন, তাদের যখন প্রথম পিরিয়ড শুরু হয় তখন তারা জানতেন না যে এটা কি হচ্ছে।

এদের একজন নিনা, যার ১২ বছর বয়েসে পিরিয়ড শুরু হয়। নিনা বলেন, ‘আমি নিচে তাকিয়ে দেখলাম রক্ত। দেখে আমার তো প্রায় পাগল হবার দশা। তখন আমার মা আমাকে একটা স্যানিটারি টাওয়েল দিলেন, কিন্তু বিশেষ কিছু বললেন না। আমি ভাবছিলাম, যদি এর ফলে আমি মারা যাই তাহলে কি হবে।’

ইনেস (১৮) বলেন, এ নিয়ে তার ছেলে বন্ধুদের সাথে কথা বলতেও তাকে গলদঘর্ম হতে হয়েছে। আমি একটা স্যানিটারি টাওয়েল কিনতে গেলাম, কিন্তু ছেলেরা এটা বুঝে ফেললো , তারা বলতে লাগলো, আমরা বাতাসে লোহার গন্ধ পাচ্ছি। আমার মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করছিল।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ক্লেয়ার বলছেন, তিনি তার ভাইয়ের সাথেও এ নিয়ে কথা বলেন। ছেলেদের সাথে এ নিয়ে কথা বললে তারা কি মরে যাবে? বরং এ নিয়ে আর মাথা ঘামাবে না।

জরিপে আভাস পাওয়া যায় যে মাত্র ২৪ শতাংশ মেয়ে তাদের পুরুষ বন্ধুদের সাথে এ বিষয়ে নি:সংকোচে কথা বলতে পারে।

জরিপে অংশ নেয়া ছেলেদের মধ্যে একজন হচ্ছেন নিদার (১৯)। তিনি বলেন, পিরিয়ড একটা প্রাকৃতিক ব্যাপার, এটা কোন দোষ নয়। কিন্তু এটা নিয়ে কথা বলারও কিছু নেই। আমার যদি জ্বর হয়, তাহলে আমি তো আপনাকে বলতে যাবো না যে আমার জ্বর হয়েছে?

প্ল্যান-এর কেরি স্মিথ বলেন, আমরা মনে করি ছেলে ও মেয়েদের এ ব্যাপারে মাধ্যমিক স্কুলে একসাথে পড়ানো উচিত। ছেলেরা আমাদের বলেছে যে ঋতুস্রাব সম্পর্কে কিছুই না জানাটা ঠিক নয়।

ইংল্যান্ডের শিক্ষা বিভাগের একজন মুখপাত্র এ ব্যাপারে বলেছেন, স্কুলগুলো ইতিমধ্যেই যৌন শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় এ বিষেয় শিক্ষাদান করতে পারছে। এটা জাতীয় বিজ্ঞান পাঠ্যসূচির মধ্যেও আছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা

Exit mobile version