যত দিন সম্ভব মেটারনিটি লিভ নেওয়ার চেষ্টা করুন। প্রথম পর্যায়ে নবজাতকের সঙ্গে সময় কাটানো খুব গুরুত্বপূর্ণ।
– কাজে যোগ দেওয়ার পর বুকের দুধ বন্ধ করে কৌটার দুধে বাচ্চাকে সম্পূর্ণভাবে অভ্যস্ত করে তোলার কথা ভাববেন না। প্রতিদিন বের হওয়ার আগে এবং বাড়ি ফিরে নিয়ম করে অবশ্যই ওকে বুকের দুধ দিন।
– বেরোনোর আগে বুকের দুধ চেপে বের করে একটা পরিষ্কার বাটিতে রেখে যেতে পারেন। আপনার অনুপস্থিতিতে ওই দুধ আপনার বাচ্চা অনায়াসে খেতে পারবে। সাধারণ তাপমাত্রায় ছয় ঘণ্টা আর রেফ্রিজারেটরে রাখলে ২৪ ঘণ্টা এ দুধ ব্যবহারযোগ্য থাকে। ফোটানোরও কোনো প্রয়োজন নেই। এতে বাচ্চার ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই।
– বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানো নিয়ে কোনো সংশয় রাখবেন না। বুকের দুধ বাচ্চার শরীরে প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলে।
– প্রেগন্যান্সির সময় মহিলাদের শরীরে যে ফ্যাট জমে, ব্রেস্টফিডিং করানোর সময় ব্রেস্ট মিল্কের মধ্য দিয়ে সেই ফ্যাট অনেকটাই বেরিয়ে যায়। তার ফলে পোস্ট-প্রেগন্যান্সি স্টেজে মহিলাদের পক্ষে ফিগার ঠিক রাখাও বেশ সহজ হয়।
– বাচ্চাকে যত নিজের কাছাকাছি রাখবেন তত সে নিজের মায়ের শরীরের গন্ধ, হাতের স্পর্শ চিনতে পারবে এবং মায়ের সঙ্গেও একটা আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
লেখক : অধ্যাপক ডা. মাহমুদ এ চৌধুরী আরজু
নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজ
কর্মজীবী মায়ের শিশুর যত্ন

কর্মজীবী মায়ের শিশুর যত্ন