রক্তদানের অর্থ হলো জীবন দান। এই প্রবাদ কে না শুনেছে। প্রত্যেকেই জীবনে কোনো না কোনো সময় এ বাক্যটি নিশ্চই শুনেছেন, বাস্তব জীবনে প্রয়োগও করেছেন। কারণ জরুরি অবস্থায় রক্তের অভাবে জীবন-মৃত্যুর মধ্যে ঝুলে থাকা কোনো অভাবীকে রক্ত দিলে তার জীবন বাঁচানো যায়। কিন্তু সবাই রক্ত দিতে পারে না, এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে।
পরিসংখ্যান দেখায় যে ত্রিশ জনের মধ্যে মাত্র একজন রক্তদানের উপযুক্ত। আপনিও যদি রক্ত দেওয়ার কথা ভাবছেন, তাহলে আসুন জেনে নিই কে রক্ত দিতে পারবেন আর কে পারবেন না?
কান ছিদ্র বা ট্যাটু করা হলে
যারা সম্প্রতি নাক, কান বা শরীরের কোনো অংশে ছিদ্র করেছেন বা ট্যাটু করিয়েছেন, তারা রক্ত দিতে পারবেন না। আপনি যদি কোনও স্থায়ী মেকআপ চিকিৎসাও করে থাকেন তবে আপনাকে রক্ত দেওয়ার আগে কমপক্ষে চার মাস অপেক্ষা করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্যাটু বা মেকআপ ট্রিটমেন্টের পরপরই রক্ত দিলে হেপাটাইটিস ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে?
যৌনতাও একটি নিয়ম
সমকামী বা যাদের নতুন যৌন সঙ্গী বা যৌনকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাদেরও ১২ মাসের আগে রক্তদান করা নিষিদ্ধ।
কম ওজন
আপনার ওজন ৪৯ কেজির কম হলেও আপনি রক্ত দিতে পারবেন না। রেড ক্রসের নিয়ম অনুযায়ী, ১৮ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তির BMI অনুযায়ী ওজন বজায় রাখতে হবে, তবেই তিনি রক্ত দিতে পারবেন।
যারা অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করে
আপনি যদি অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্সে থাকেন তবে আপনি রক্ত দিতে পারবেন না। এমনকি যদি আপনার সাত দিনের মধ্যে সংক্রমণ হয় তবে আপনি রক্তদানের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
এই ব্যক্তিদেরও উচিত নয় রক্তদান করা
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের রক্তদান এড়িয়ে চলতে হবে। বুকের দুধ খাওয়ানো নারীদেরও রক্ত দান করা এড়ানো উচিত। হিমোফিলিয়া ইত্যাদির মতো রক্ত সংক্রান্ত কোনো রোগ থাকলে রক্ত দেবেন না। যাদের বয়স ১৮ বছরের কম এবং ৬৫ বছরের বেশি তাদের রক্ত দেওয়া উচিত নয়।
রক্ত দেওয়ার আগে এই কাজগুলো করুন
রক্ত দেওয়ার আগের রাতে হালকা খাবার খান এবং ভালো করে ঘুমান। চর্বিযুক্ত খাবার, জাঙ্ক ফুড, আইসক্রিম, ফ্রাই বার্গার, মাংস-মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। রক্ত দেওয়ার আগে প্রচুর জল পান করুন। রক্ত দেওয়ার আগের রাতে অ্যালকোহল পান করবেন না।