Site icon স্বাস্থ্য ডটটিভি

যেসব লক্ষণে বুঝবেন পাকস্থলীর ক্যান্সার হয়েছে, কী করবেন?

ক্যান্সার এখন খুব পরিচিত এক শব্দ। আমাদের দেশে এখন ক্যান্সারের অনেক রোগী। এদের মধ্যে অনেকেই প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করেন। বিভিন্ন অঙ্গেই হতে পারে ক্যান্সার। ক্যান্সারের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যান্সার সবচেয়ে জটিল। এই ক্যান্সার হলে রোগীকে প্রচণ্ড কষ্ট করতে হয়। কিছু উপসর্গ ও লক্ষণ দেখে পাকস্থলীর রোগ শনাক্ত করা হয়। সে সম্পর্কে সবার ধারণা থাকা উচিত।

পাকস্থলীর ক্যান্সারের বিভিন্ন কারণ আজ পর্যন্ত জানা গেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই এই ক্যান্সার দেখা যায়। পাকস্থলীর ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি হয় জাপানে। এছাড়া আমাদের দেশেও এই ক্যান্সারের রোগী অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে।

পাকস্থলীর ক্যান্সারের বিভিন্ন কারণ আছে। এসবের মধ্যে আছে ঃ
১। হেলিকোব্যাকটর পাইলোরি নামক এক প্রকার জীবাণুর আক্রমণ। এই ব্যাকটেরিয়া দিয়ে প্রায়ই পাকস্থলীর ক্যান্সার হয়।
২। মদপান করলে পাকস্থলীর ক্যান্সার হতে পারে।
৩। যারা ধূমপায়ী তাদের এই ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আমাদের দেশের অনেক মানুষ ধূমপান করে।
৪। অত্যধিক লবণ আছে এমন খাবার গ্রহণ করলে পাকস্থলীর ক্যান্সার হয়। বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে এসব খাবার গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে ।
৫। সংরক্ষিত টিনজাত খাবার খেলে হতে পারে পাকস্থলিতে ক্যান্সার।
৬। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব রয়েছে এমন খাবার গ্রহণ করলে পাকস্থলীর ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে ফলম‚ল এবং শাকসবজিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
৭। বংশগত কারণেও পাকস্থলীতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

এক সময়ে জাপানে পাকস্থলী ক্যান্সারের কারণে অনেক লোক মারা যেত। বর্তমানে চল্লিশের উপর যাদের বয়স তাদের পেটের সমস্যা হলেই এন্ডোস্কপি করে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করা হয় সেখানে। এজন্য সেখানে এর প্রকোপ আগের চেয়ে অনেক কমছে।

যেহেতু পাকস্থলীর ক্যান্সারের রোগী আমাদের দেশে আছে তাই সবাইকেই সচেতন হতে হবে। ফলমূল এবং শাকসবজিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এসব খাবার প্রচুর খেতে হবে। তাহলে কমে যাবে পাকস্থলীর ক্যান্সারের সম্ভাবনা। সংরক্ষিত টিনজাত খাবার কম খেতে হবে। এসব খাবার বেশ সুস্বাদু হয়। কিন্তু এসব বেশি খেলে যেহেতু ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে তাই এসব খাবার কম খেতে হবে। ধূমপান এবং মদ্যপান একেবারে বন্ধ করতে হবে। এসব করলে অন্য ক্যান্সার হবার সম্ভাবনাও থাকে। হেলিকোব্যাকটর ব্যাকটেরিয়া দিয়ে পাকস্থলীর ক্যান্সার হয়। এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে আছে কিনা সেটা নিশ্চিত হতে হবে এবং তার চিকিৎসা করতে হবে। তাছাড়া অত্যাধিক লবণ আছে এমন খাবার বর্জন করতে হবে।

ক্যান্সার থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। আশা করি সবাই সচেতন হবেন।

ডা. মো. রাসেল
সহযোগী অধ্যাপক, সার্জিক্যাল অনকোলজি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

Exit mobile version