কখন বুঝবেন আপনার চশমার প্রয়োজন

চোখ নিয়ে আর হেলাফেলা নয়, এই সমস্যাগুলো হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান!

চোখের সমস্যা কম-বেশি আমাদের সবারই আছে। কিন্তু অনেকে আছেন, যারা বুঝতে পারেন না তাদের চোখে সমস্যা হয়েছে কিনা বা কখন চোখের ডাক্তার দেখাতে হবে। দিনের বেশিরভাগ সময় ল্যাপটপ, কম্পিউটারের সামনে কাজ করে কেটে যায় সময়। আর এর ফলে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে চোখে। চোখ ছোট করে দেখার চেষ্টা, মাথাব্যথা, অবসাদ ইত্যাদি দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার লক্ষণ।

অন্য সব কিছুর মতোই সমস্যা না হলে চোখের ডাক্তারের কাছেও মানুষ যায় না। সাধারণ লেখা পড়তে যদি চোখ ছোট করে ভালোভাবে দেখতে হয় কিংবা মোবাইলে কিছু পড়তে যদি কাছে আনতে হয় তবে বুঝতে হবে দৃষ্টিশক্তি দূর্বল হয়েছে। এই অবস্থায় অনেকেই অবহেলা করেন, ব্যস্ততার অজুহাতে চলে কালক্ষেপণ।

আর এজন্যই স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইটে চিকিৎসাবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল কীভাবে বুঝবেন চশমা নেওয়ার দরকার।

চোখ ছোট করে দেখা চেষ্টা: একেবারে ছোট কোনো লেখা পড়তে কিংবা দূরের কিছু দেখতে মাঝে মাঝে চোখ কুচকে বা আধা বন্ধ করে আরও ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করা হয়। তবে দিনে তার প্রয়োজনটা খুব কম সময়ই হয়। কারও যদি এমনটা প্রায়শই করতে হয়, এমনকি সাধারণ জিনিস দেখতেও যদি এমনটা করতে হয় তবে বুঝতে হবে নিজের অজান্তেই দৃষ্টিশক্তির ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। তাই এমতাবস্থায় ওই ব্যক্তির চশমা ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়তে পারে।

মাথাব্যথা: চোখের পেশির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে দেখা দেয় দপদপে মাথাব্যথা। কর্নিয়া আর লেন্সকে সঠিকভাবে কোনো কিছুর উপর ‘ফোকাস’ করতে যে পেশিগুলো সাহায্য করে সেগুলো ঠিকভাবে কাজ না করলেই তাদের উপর বাড়তি চাপ পড়ে এবং মাথাব্যথা শুরু হয়।

ঝাপসা দেখা: তিন থেকে চার ফিট দুরত্বে থাকা যে কোনো কিছু যদি ঝাপসা দেখেন তবে বুঝতে হবে চোখের সমস্যা হয়েছে। চোখের ডাক্তার দেখাতে হবে।

রাতে কম দেখা: রাতের বেলা চোখে কম দেখলে এবং ব্যাপারটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হলে তা হতে পারে চোখে ছানি পড়ার পূর্বাভাস কিংবা কোনো ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। দুটোই গুরুতর সমস্যা তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

চোখের অবসাদ: আধা ঘণ্টা বই পড়লে কিংবা বৈদ্যুতিক পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার পর চোখে কেমন অনুভুতি হয়? জ্বালাভাব, ব্যথা, অবসাদ অনুভব করলে একটানা এতক্ষণ কোনো কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকা থেকে বিরত থাকতে হবে। চোখের অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে প্রচুর পানি পান করতে হবে।

চোখে চাপ: চোখের পেছন দিকে চাপ অনুভব করলে তা হয়ত ‘গ্লুকোমা’র পূর্বাভাস।

চোখ কচলানো: চোখে ভালো দেখা জন্য যদি প্রায়ই কচলাতে হয় তবে ধরে নিতে হবে চোখ অবসাদগ্রস্ত কিংবা দৃষ্টিশক্তি কমে যাচ্ছে। তাই দ্রুত চোখের ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

Exit mobile version