Site icon স্বাস্থ্য ডটটিভি

শিশুর জন্য মায়ের দুধ সর্বোৎকৃষ্ট খাবার

মহামারীতে বিপর্যন্ত এই পৃথিবীতেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শিশুর ভবিষ্যত সুরক্ষায় মায়ের দুধকেই সেরা দাওয়াই মানছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। শিশু বৃদ্ধি বিকাশ সহ শিশুকে সুস্থ রাখতে মায়ের দুধের বিকল্প বা সমকক্ষ কিছুই নেই। মায়ের দুধ সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে সমগ্র মানব জাতির জন্য একটি বিশেষ আশীর্বাদ। চিকিৎসাবিজ্ঞানও মায়ের দুধকে শিশুর জন্য সর্বোৎকৃষ্ট খাবার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

চলুন দেখা যাক যে কেন মায়ের দুধ শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
# জন্মের পর পরই একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।
হলদেটে রঙের শাল দুধে (প্রসূতির স্তন থেকে বের হওয়া প্রথম দুধ)রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, আমিষ, শ্বেত কণিকা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।এই দুধ শিশুর পেট পরিষ্কার করে, নিয়মিত পায়খানা হতে সাহায্য করে এবং জন্ডিসের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।একে জীবনের প্রথম টিকা ও বলা হয়।
#মায়ের দুধে পুষ্টি উপাদান ছাড়াও রয়েছে ৯০ ভাগ পানি।এজন্য শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত আলাদা পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
# মায়ের দুধে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড ( লিনোলিক এসিড)আছে,যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ, চক্ষু ও রক্তনালী গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়।
# মায়ের দুধে রোগ জীবাণু থাকে না। উপরন্তু শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মায়। ফলে শিশুর অসুখ-বিসুখ, বিশেষ করে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, এলার্জি চুলকানি ইত্যাদি কম হয়।
# জন্মের প্রথম সপ্তাহে মায়ের বুকের দুধ পান করলে অন্ত্রের সংক্রমণ থেকে শিশু রক্ষা পায়।মুখের তালু এবং মাড়ি শক্ত হয়।
# বুকের দুধে মিনারেল, ভিটামিন, পানি ছাড়াও থাকে বিশেষ ধরনের ফ্যাটি এসিড যা শিশুর চোখের জ্যোতি বাড়ায়। এতে রয়েছে শিশুরমস্তিষ্ক গঠনের বিশেষ উপাদান।
#বুকের দুধ পান করলে শিশুর পেটে বাতাস জমতে পারে না যা শিশুকে হজমে সহায়তা করে।
# বুকের দুধ পান করার ফলে জরায়ু, স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। তৈরি
হয় সন্তান ও মায়ের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক। মায়ের গর্ভধারণের সম্ভাবনাও কম থাকে।
তাই শুধু মাত্র নবজাত শিশুর জন্য ই নয় বরং মায়ের স্বাস্থ্য অটুট রাখতে ও এটি দরকারী। আসুন নবজাতক শিশু যেন জন্মের পরপরই মাতৃদুগ্ধ পান করতে পারে সে বিষয়টি আমরা সর্বাগ্রে খেয়াল করার চেষ্টা করি। এবারের মাতৃদুগ্ধ দিবসে এটিই হউক আমাদের অঙ্গীকার।

Exit mobile version