আজ শনিবার আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্র এ তথ্যে সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, সরকার নতুন যেখানে জায়গা দেবে, সেখানে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করা হবে।
দিয়াবাড়ি এলাকার একটি ভবনে করোনাভাইরাসের কোয়ারেন্টিন সেন্টার খোলায় গতকাল শুক্রবার প্রতিবাদ জানান ভবনের মালিক ও বাসিন্দারা। তাঁরা ওই ভবনের সামনে দিনভর বিক্ষোভ করেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে দুটি কোয়ারেন্টিনের দায়িত্ব গত বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়। কেন্দ্র দুটি হলো আশকোনায় হজ ক্যাম্প ও উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত দিয়াবাড়ির রাজউকের অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প এলাকা। আজ দিয়াবাড়ির সেন্টারটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানা গেল।
আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের দাবি ছিল, কোয়ারেন্টিন সেন্টার হলে আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
কোয়ারেন্টিনের জন্য যে স্থানটি নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেই কুঞ্জলতা ভবনের অবস্থান একদম পশ্চিমে। কুঞ্জলতার চারটি ভবনে ৮৪টি করে মোট ৩৩৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। গতকাল সকালে কোয়ারেন্টিনের প্রস্তুতির কাজ করতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই ভবনে যান। এই ভবনের তিন পাশের ভবনে লোকজন বসবাস করে। দিয়াবাড়িতে রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ৬ হাজার ৬০০ ফ্ল্যাট রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৫০০ ফ্ল্যাটে প্রায় তিন হাজার লোক বসবাস করে।