বিবিধ
ঢাকা মেডিক্যালে শিশু কিনতে এসে দুই নারী আটক
॥ ই-হেলথ২৪ প্রতিবেদক ॥ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত রবিবার সকালে শিশু কিনতে এসে দুই নারী পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। তারা হলো হাজেরা বেগম (৩২) ও সুলতানা খাতুন (৪০)। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাজেরা ও সুলতানা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে সেখানে কর্তব্যরত নার্স মনোয়ারা বেগম ও […]
॥ ই-হেলথ২৪ প্রতিবেদক ॥ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত রবিবার সকালে শিশু কিনতে এসে দুই নারী পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। তারা হলো হাজেরা বেগম (৩২) ও সুলতানা খাতুন (৪০)।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাজেরা ও সুলতানা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে সেখানে কর্তব্যরত নার্স মনোয়ারা বেগম ও বিলকিশ বেগমকে টাকার বিনিময়ে বাচ্চা পাওয়া যাবে কি না বা গরিব কেউ বাচ্চা দিবে কি না এমন খোঁজখবর করে।
ওই দুই নার্স কৌশলে মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মোজাম্মেল হককে খবর দেন। এসআই মোজাম্মেল ফোর্সসহ ২০৭ নম্বর ওয়ার্ডে যান এবং পরে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করেন।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এর আগে বাচ্চা চুরির ঘটনা সম্পর্কে অনেকেই অবগত রয়েছে। এ ঘটনায় ২০৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড মাস্টার ফুল মিয়াকে বাদী করে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আটককৃত সুলতানা খাতুন জানায়, তার মেয়ে রোকসানার ১১ বছর ধরে বিয়ে হয়েছে। রোকসানার কোনো সন্তান না হওয়ার কারণে তার সংসার ভাঙার অবস্থা। প্রতিবেশী ও লোকমাধ্যমে শুনেছে, টাকার বিনিময়ে বা গরিব মানুষ যারা সন্তানের ব্যয়ভার বহন করতে পারে না, তারা সন্তান বিক্রি করে দেয়। এ কারণেই তারা এই হাসপাতালে এসেছেন। সে আরো জানায়, তার স্বামীর নাম আলমগীর এবং হাজেরার স্বামীর নাম স্বপন গাজী। তারা একে অপরের প্রতিবেশী। তাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গাউছিয়ার গোলাকান্দাইল।
শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, দুই নারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রকৃতই তারা যদি অপরাধী হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।