শিশুদের যেসব মানসিক রোগ বা সমস্যা হয়, শিশুর মানসিক সমস্যায় কি করবেন

বড়দের যেমন বিভিন্ন মানসিক সমস্যা হয়, তেমনি শিশুদেরও মানসিক সমস্যা হয়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য টিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন-
ডা. ফাতেমা মারিয়া খান
সহকারী অধ্যাপক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ
উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ

প্রশ্ন : শিশুদের কী কী ধরনের মানসিক সমস্যা হতে পারে?
উত্তর : শিশুদের মানসিক সমস্যা হতে পারে না—এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকে ভাবেন, শিশুদের আবার মানসিক সমস্যা কী? বড়দের যেমন বিভিন্ন মানসিক সমস্যা রয়েছে, তেমনি শিশুদেরও বিভিন্ন মানসিক সমস্যা রয়েছে। যেটা এখন বেশি প্রচলিত সেটি হলো আচরণগত সমস্যা। এর পাশাপাশি আরো রয়েছে এডিএইচডি। এরপর রয়েছে কনডাক্ট ডিজঅর্ডার। অনেকে মিথ্যা বলে, না বলে অন্যের জিনিস নিয়ে যায়, ধ্বংস করে বা ভেঙেচুরে ফেলে, সামাজিক নিয়মগুলো মানে না, স্কুল পালায়। এই বিষয়গুলো থাকে।

এরপর রয়েছে ওডিডি। অপজিশনাল ডেফিয়েন ডিজঅর্ডার। মানে হলো তর্ক করা। বড়দের একদমই মানবে না। তার যেটা মনে হয়, সেটা করবে। তার নিজের কথার পেছনে অনেক যুক্তি দাঁড় করবে।

প্রশ্ন : অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চা তর্ক করছে। আমরা রেগে যাই। ভাবি, কেন তর্ক করবে, কেন বেয়াদবি করবে। এ ধরনের তর্কের বিষয়গুলোও কি ডিজঅর্ডারের মধ্যে পড়বে?

উত্তর : ক্লিনিক্যালই রোগ নির্ণয় করতে গেলে কতগুলো বৈশিষ্ট্য মেনে চলতে হবে। সেগুলোর মধ্যে পড়লে হবে। তর্ক করা কিংবা একটু বেশি দুষ্টুমি, এগুলো কিন্তু সব বাচ্চার মধ্যেই থাকবে। এর মানে এই নয়, যেকোনো বাচ্চার মধ্যে একটু চঞ্চলতা দেখলেই বলব হাইপার অ্যাকটিভ। একদিন না বলে কিছু নিয়েছে তো কনডাক্ট ডিজঅর্ডার। সেটি নয়। কিছু লক্ষণ রয়েছে, সেগুলো দেখে সাইকিয়াট্রিক বা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টরা রোগ নির্ণয় করেন। সেই বৈশিষ্ট্যগুলো মিলিয়ে আমরা বলতে পারব যে সে কোনো সমস্যায় রয়েছে কি না। সেটি অবশ্যই খুব বেশি হবে। যে একবার-দুবার মিথ্যা বলেছে বা একবার-দুবার তর্ক করেছে, সেটি রোগ নয়। ওডিডি মানে হলো প্রতিটি বিষয়ে সে তর্ক করবে। বড়দের কোনো কথা সে শুনবে না।

Exit mobile version