Site icon স্বাস্থ্য ডটটিভি

জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল ১২শ শয্যার হচ্ছে

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আগামী মাসেই (নভেম্বর) হাসপাতালের বধিত অংশে চিকিৎসাসেবা চালু করা যাবে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ১ হাজার ২০০টি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াড ক্যাথল্যাব-২ উদ্বোধন করতে এসে একথা জানান তিনি।

হৃদরোগের চিকিৎসায় বিশেষায়িত ঢাকার এই সরকারি হাসপাতালে বর্তমানে শয্যা সংখ্যা ৭০০; তা থেকে ৫০০ বাড়ানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের ৮টি বিভাগে ৮টি উন্নত মানের ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজকে ৫ হাজার বেডে উন্নীত করা হচ্ছে। একইভাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটকে ৭০০ শয্যা থেকে ১২০০ শয্যায় উন্নীত করা হচ্ছে।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় নিয়োজিত চিকিৎসক-নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো দেশের টিকার স্বীকৃতি এখন পর্যন্ত দেয়নি। বাংলাদেশ টিকা পেতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

“যখনই কোনো দেশ স্বীকৃতি পাবে আমরা সবার আগে সেটি দেশে নিয়ে আসব। ভ্যাকসিন আনতে সরকার অন্যান্য দেশের সাথেও আলোচনা অব্যাহত রেখে চলেছে। ভ্যাকসিন অনুমোদিত হলে আমাদের দেশে আনতে কোনো দেরি হবে না।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শীতকালে দেশে আবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে পারে। এটি মোকাবিলা করার জন্য অবশ্যই সবাইকে মাস্ক করতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকতে হবে। এছাড়া শীতকালে যেসব অনুষ্ঠান বেশি হয়, সেসব অনুষ্ঠানগুলো সীমিত আকারে করার অনুরোধ করেন তিনি।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালকের বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাহিদ মালেক হৃদরোগের চিকিৎসা বিশ্বমানের করার জন্য ওসিটি মেশিন, রোটা বোটার মেশিন, কার্ডিয়াক এমআরআই মেশিন দেবেন বলে আশ্বাস দেন।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মীর জামাল উদ্দীন বলেন, এ হাসপাতালে ৪১৪ শয্যা থাকলেও প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী ফ্লোরে থেকে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে। হাসপাতালের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে এখান থেকে আরও অনেক রোগীর চিকিৎসা দেওয়া যাবে। দেশের অনেক মানুষ উপকৃত হবে।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিব) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ।

Exit mobile version