খাবার গ্রহনে অতিরিক্ত শর্করাও দেহকে মোটা করে

॥ ফাতেমা সুলতানা, পুষ্টিবিদ ॥  আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় তৈলাক্ত খাবার বাদ দিয়ে আমরা অনেক সময় শর্করা-জাতীয় খাবারকে প্রাধান্য দিচ্ছি। মনে করছি যে তেল তো কম খাওয়া হচ্ছে তবে ওজন কেন বাড়ছে? অনেকে আবার বলেন আমি খাবারে একেবারেই কম তেল দিই, তবুও দিন দিন ওজন বাড়ছে।

গবেষনা করে দেখা গেছে অন্য খাবারগুলোর মধ্যে শর্করা-জাতীয় খাবার খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া হচ্ছে। অথবা যা খাওয়া হচ্ছে সে পরিমাণ পরিশ্রম করা হচ্ছে না। তাই আমরা প্রতিদিন কতটুকু খাব, কী পরিমাণ খাব সে সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। অনেকে ভাতের বিকল্প মুড়ি, চিঁড়া, খই বা রুটি খাচ্ছেন। কিন্তু এই খাবারগুলোতে প্রায় একই পরিমাণ এনার্জি বা শক্তি থাকে যা আমাদের ওজন দ্রুত বাড়াতে সাহায্য করে।

তাই খাবারের তালিকায় এমনসব খাদ্য উপাদানের ব্যবস্থা করতে হবে যেগুলো খেলে আমাদের শর্করার চাহিদা পূরণ হবে, সঙ্গে সঙ্গে ওজন বৃদ্ধি হ্রাস হবে। সেগুলো হচ্ছে লাল চালের ভাত, ভুসিসমেত আটার রুটি, ইসবগুলের ভুসি, বিভিন্ন ধরনের শাক, বরবটি, ডাঁটা, সজনে ইত্যাদি। এগুলো আমাদের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে। এতে আমরা সুস্থ থাকতে পারব।

আরেকটা কথা, খাবারে উদ্ভিজ্জ তেল অর্থাৎ ভেজিটেবল অয়েল সীমিত পরিমাণ খাওয়া যেতে পারে। অনেক সময় দেখা গেছে, তেল খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার ফলে চামড়া শুষ্ক ও খসখসে হয়ে পড়ছে, চুল পড়ে যাচ্ছে, চেহারার উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই এসব থেকে আমরা সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল, সামুদ্রিক মাছ, কর্ডলিভার অয়েল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারি। শুধু খাবারের পরিমাণ কমালেই হবে না, সেই সঙ্গে শারীরিক পরিশ্রমও করতে হবে।

দৈনিক আধ ঘণ্টা করে হাঁটতে হবে। এই হাঁটা আবার যেমন তেমন হাঁটা হলে চলবে না। প্রতি সেকেন্ডে দুই কদম ফেলতে হবে, এমনভাবে হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। প্রথমেই এভাবে সম্ভব নয়, তাই দশ মিনিট করে শুরু করতে হবে। এভাবে সব দিক থেকে সতর্ক থাকলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

Exit mobile version