শুরু হচ্ছে বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ ২০১৯। নীরব অন্ধত্বের প্রধান কারণ এই গ্লুকোমা নিয়ে সচেতনতার লক্ষ্যে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে গুরুত্বের সঙ্গে সপ্তাহটি পালিত হবে। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘গ্লুকোমার জন্য আপনার চোখ পরীক্ষা করুন এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখুন’। বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ ২০১৯ দিবস উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য ডটটিভির বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হল।
এ ইন্সটিটিউটের গ্লুকোমা বিভাগের প্রধান ডা. ইফতেখার মনির বলেন, গ্লুকোমা সপ্তাহে বিনামূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ চিকিত্সা প্রদান সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৭ কোটি মানুষ এই রোগে ভুগছে। বাংলাদেশে জরিপে দেখা গেছে, আমাদের দেশের অন্ধত্বের শতকরা ১.২ ভাগ গ্লুকোমা রোগী এবং শতকরা ২.৮ ভাগ মানুষ গ্লুকোমা রোগে ভুগছে।
বাংলাদেশ চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা জানান, সঠিক সময়ে চিকিত্সা নিতে পারলে গ্লুকোমা প্রতিরোধ করা যায় এবং এ রোগ নিয়ে সারা জীবন ভালো থাকা যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৭ কোটি মানুষ এই রোগে ভুগছে। বাংলাদেশে জরিপে দেখা গেছে, আমাদের দেশের অন্ধত্বের শতকরা ১.২ ভাগ গ্লুকোমা রোগী এবং শতকরা ২.৮ ভাগ মানুষ গ্লুকোমা রোগে ভুগছে।
গ্লুকোমা চোখের একটি জটিল রোগ। এই রোগকে নিরব ঘাতক বলা হয়। চোখের অভ্যন্তরীণ উচ্চ চাপই এই রোগের প্রধান কারণ, যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে চোখের স্বাভাবিক চাপেও এই রোগ হয়ে থাকে। চোখের এই অভ্যন্তরীণ চাপ চোখের অতি সংবেদনশীল অপটিক নার্ভ, যার মাধ্যমে চোখ মস্তিষ্কের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তাকে চিরতরে নষ্ট করে দেয়, ফলে মানুষ অন্ধত্ব বরণ করে। গ্লুকোমা রোগ যেকোনো মানুষের যেকোনো বয়সে হতে পারে, তবে ৪০ বছর বয়সের পরে এই রোগের সম্ভাবনা বেশি। এ রোগ প্রতিরোধে সচেতনার বিকল্প নেই।