স্বাস্থ্য সংবাদ

৬ ধরনের স্বাস্থ্য সামগ্রী চীনে পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

Published

on

বাংলাদেশে তৈরি ছয় ধরনের স্বাস্থ্য সামগ্রী চীনে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের হাতে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ওই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বন্ধুত্ব ও সহমর্মিতার নিদর্শন হিসাবে চীনে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বাংলাদেশে উৎপাদিত এসব স্বাস্থ্য সামগ্রী পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”

এসব স্বাস্থ্য সামগ্রীর মধ্যে ১০ লাখ হ্যান্ড গ্লাভস, পাঁচ লাখ মাস্ক, দেড় লাখ ক্যাপ, এক লাখ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, আট হাজার গাউন এবং ৫০ হাজার শু কভার রয়েছে বলে জানানো হয় অনুষ্ঠানে।

এসব স্বাস্থ্য সামগ্রী গ্রহণ করে রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার বন্ধুত্ব ও মহানুভবতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

Advertisement

“ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহানে এসব সামগ্রীর জরুরি প্রয়োজন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে।”

এর আগে রোববার করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত চীনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ‘সহমর্মিতামূলক সহায়তা’ দেওয়ার বিষয়টি রাষ্ট্রদূত লি জিমিংকে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বাংলাদেশের জন্য চীন থেকে ৫০০ টেস্ট কিট আসার কথা জানিয়ে সেদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে এই কিট আসার নথি তুলে দিয়েছিলেন লি জিমিং।

আগামী বুধবার এই কিটগুলো বাংলাদেশে পৌঁছাবে জানিয়ে এবার অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “নতুন করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য নতুনভাবে উদ্ভাবিত এসব সামগ্রী বাংলাদেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে ভূমিকা রাখবে।”

এরমধ্যে ৩১২ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ফেরানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য চীন সরকারকে অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

Advertisement

তবে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে চীনে থাকা আরো বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরাতে চাইলে সহায়তার আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদূত জিমিং।

চীনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হুবেইয়ের রাজধানী উহানের একটি সি ফুড (সামুদ্রিক খাবার) মাকের্ট থেকেই ভাইরাসটি প্রথম ছড়ায় বলে মনে করা হয়। এর সংক্রমণে উপসর্গ হয় অনেকটা ফ্লুর মতো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ রোগের নাম দিয়েছে কভিড-১৯।

জানুয়ারির পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৮৭৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে নতুন ধরনের এ করোনাভাইরাস। অন্তত ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

Trending

Exit mobile version