নিজেস্ব প্রতিবেদক: পাহাড় কাটার সময় চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কোরিয়ান রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (কেইপিজেড) থেকে ১০টি বুলডোজার জব্দ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মুনীর চৌধুরী কেইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব বুলডোজার জব্দ করেন।
তিনি জানান, কেইপিজেড কর্তৃপক্ষকে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গত জানুয়ারিতে পাহাড় কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা ওই নিষেধ না মেনে পুনরায় পাহাড় কাটছে। শনিবার হাতেনাতে তার প্রমাণ মিলেছে।
তাদের আগের ছাড়পত্র বাতিল করে পাহাড় কাটার অপরাধে মামলা এবং জরিমানা করা হবে বলেও জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক।
পাহাড় কাটার সময় র্যাব ও পুলিশের সহায়তায় এতে জড়িত সাত শ্রমিককে আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। তবে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
জব্দকৃত বুডোজারগুলো আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী পরিষদ কার্যালয়ের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, গত ২২ জানুয়ারি মুনীর চৌধুরী কেইপিজেডে প্রথম দফা অভিযান চালিয়ে তাদের পাহাড় কাটা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরও তারা পাহাড় কাটায় শনিবার এ অভিযান চালানো হয়।
মুনীর চৌধুরী বলেন, “কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ ৪০-৬০ ফুট উচ্চতার পাহাড় কেটে সমতল এবং দুটি জলাধার ভরাট করেছে। পরিবেশ আইনে এসব কাজ দণ্ডনীয় অপরাধ।
পশ্চিম পটিয়া ও আনোয়ারা উপজেলার আড়াই হাজার একর পাহাড়ি ভূমিতে কেইপিজেড এলাকা। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর ৩৩টি শর্ত সাপেক্ষে কেইপিজেডকে পাহাড় কাটার অনুমতি দেয়া হয়।
তবে কেইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহজাহান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অনুমতি নিয়েই শিল্পায়নের জন্য প্লট করছি। নিষেধাজ্ঞার পর যেসব এলাকায় কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল সেখানে বন্ধ রয়েছে।”