সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগে মারা যাওয়া গবাদি পশুর মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। সুত্র বিডিনিউজ২৪ ডটকম
গত শনিবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের নুকালী স্কুল মাঠে গবাদি-পশুর অ্যানথ্রাক্স প্রতিষেধক টিকা কার্যক্রম ও রোগের প্রতিকার বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শাহজাদপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আশরাফ বাচ্চুর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ চয়ন ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. আমিনুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. মোশারফ হোসেন, ঢাকা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. রনজিৎ কুমার সাহা, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এর একদিন আগে শুক্রবার বেলকুচি উপজেলার সেন ভাঙ্গাবাড়ি এলাকায় গবাদি পশুর অ্যানথ্রাক্স প্রতিষেধক টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে প্রাণি সম্পদমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কোনো চিন্তা-ভাবনা সরকারের নেই। তবে খুব শিগগিরই পশু-বীমা চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার। পশুবীমা চালু হলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারি ও গরুর মালিকরা সুবিধা পাবেন।
এদিকে শনিবার দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নে আরো পাঁচজন অ্যানথ্রাক্স সংক্রমিত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।
সংক্রমিতরা হলেন- গোলাম হোসেন (২৮), আইনাল হক (২৫), হাজেরা খাতুন (৭২), সাবিনা (১২) ও সানোয়ার (২৪)।
এ নিয়ে জেলার শাহজাদপুর, বেলকুচি ও কামারখন্দ উপজেলায় গত কয়েকদিনে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমিত গরুর মাংস খেয়ে বা সংস্পর্শে এসে এ রোগে ১৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ১৯ অগাস্ট সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চিথুলিয়া এলাকায় প্রথম অ্যানথ্রাক্স সংক্রমিত রোগী সনাক্ত করা হয়।
এছাড়া পাবনা জেলায়ও অ্যানথ্রাক্স সংক্রমিত কয়েকজন সনাক্ত হয়েছে।